Sunday, December 18, 2016

ছোট লোক'এ রা'

আপনার অফিসে যে লোকটি ঝাড়ু দেন, যাকে দেখলেই আপনার মনে হতে থাকে, এমনিতেই একটা বকা দিয়ে দিলেও কী-ই বা হবে, নিজের বাসার কোনো রাগ কিংবা ব্যক্তিগত ক্ষোভ ঝাড়ার সবচাইতে নিরাপদ স্থানটি ভেবে যাকে মুখে যা-ই আসে, তা-ই বলে ফেলা যায় ভাবেন, কখনো কখনো গায়ে হাত তুলতে ইচ্ছে করলে যার গায়ে হাত তোলাটা নিজের অধিকারের পর্যায়ে নিয়ে গেছেন, যার বাবা-মা তুলে গালাগালি করে নিজের অসুস্থ মানসিকতাটা সামনে নিয়ে এলেও কিচ্ছু হয় না, যিনি আপনার সব অন্যায় কথাগুলি শোনাকে উনার চাকরির একটা অংশ মনে করেন, যাকে তুইতোকারি করা যায় বিনা অস্বস্তিতেই, নিজের জুতোজোড়াও সরিয়ে রাখতে যাকে হাঁক দিয়ে বলেন জোরেই, যার অসহায়ত্ব দেখলে আপনার কদর্য পৌরুষ সুড়সুড়ি পেয়ে নাচতে থাকে, উনিও কিন্তু একটা পরিবারের সর্বময় কর্তা। আপনি স্রেফ একটা তুড়িতেই উনার চাকরিটা ‘খেয়ে ফেলতে’ পারেন বলে উনি আপনার সামনে নত হয়ে সব অবিচারগুলিকেও সহ্য করে। কণ্ঠস্বরটাও যথাসম্ভব নামিয়ে কথা বলেন, কারণ স্বাভাবিক কণ্ঠস্বরকে বেয়াদবি ভেবে বসে আপনি চাইলেই সবকিছু করতে পারেন। সে ভয়ে উনি হাসিমুখে বিনা বাক্যব্যয়ে যা-ই বলেন না কেন, মেনে নেন, এমনভাবেই, যেন মন থেকেই নিয়েছেন! এটা শ্রদ্ধা নয়, ভালোবাসা নয়, এটা স্রেফ ভয়। চুপ করে থাকা মানেই কিন্তু মন থেকে গ্রহণ করা নয়। প্রতিবাদের অনুপস্থিতি মানেই ন্যায্যতা নয়। শরীরের শক্তির নির্লজ্জ প্রকাশে মনের নাজুকতাই ফুটে ওঠে। এই পৃথিবীতে সবচাইতে দুর্বল চিত্তের মানুষগুলোকেই অন্যের গায়ে হাত তুলতে হয়। মানুষ যখন তার নিজের অবস্থানের অযোগ্য হয়, তখনই নিজের অবস্থানের সুযোগ গ্রহণ করে অন্যকে আঘাত করে। বড় অবস্থানের ছোটলোকমাত্রই ভয়ংকর!

আপনার অফিসের সেই ঝাড়ুদারের কথায় ফিরে যাই। সেই উনি যখন সন্ধ্যায় বাসায় ফেরেন একটা সস্তা লজেন্স হাতে নিয়ে, উনার পুতুলের মতন আদুরে ছোট্ট মেয়েটি তখন খুশিতে উনার কোলে ঝাঁপিয়ে পড়ে আর উনার চুলগুলি সরিয়ে দেয়, কপালে, চোখে, গালে চুমু খায়, আর লজেন্সটা চুষতে চুষতে বলতে থাকে, “আব্বু, তুমি অনেক ভাল!” বাবার সেই মুহূর্তে মনে হতে থাকে, এর চাইতে দামি সার্টিফিকেট পৃথিবীর সেরা ভার্সিটিতেও মেলে না। সারাদিনে কী কী হল, ওকে কে কী কী বলেছে, বন্ধুদের সাথে কী কী খেলল, আম্মু কখন কখন বকা দিয়েছে, একে একে সব বলতে থাকে। উনার স্ত্রী তখন একটু দূর থেকে বাপবেটির এসব খুনসুটি দেখতে থাকেন আর মুচকি হেসে ভাবেন, “এর চাইতে সুন্দর দৃশ্য কে কবে কোথায় দেখেছে?” সবচাইতে দরিদ্র অবহেলিত মানুষটিও কোনো এক নারীর চোখে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ পুরুষ, কোনো একটি শিশুর বিশ্বাসে পৃথিবীর সেরা পিতা। সেই পুরুষটি এরপর স্ত্রীর খোঁপায় হয়তো পরিয়ে দেন দিনের শেষে সস্তায় বিক্রি-হওয়া একটা ফিকে হয়েওঠা গোলাপ। স্ত্রীর মুগ্ধতার কাছে ওটাই পৃথিবীর সবচাইতে দামি উপহার! 

Saturday, December 10, 2016

বর্ণিল স্বপ্ন

"বর্ণিল স্বপ্ন"
                        -আনন্দ মোহন     

প্রিয়তম বলতে চেয়েছি অনেকবার
কিন্তু দেখ লাজুকলতা টা,
      তার আচরণ বড়ই অদ্ভুত
নুয়ে থাকা যে তার অভ্যাস
আমার ও ইচ্ছে হয়,
ছুঁয়ে দেখি তোমায়
হাতে হাত রেখে ছুটির দিনগুলো কাটাবো,
      তোমার সাথে।

তোমার কাছে যাবো,তোমার পিঠে পিঠ
      ঠেকাবো
নাকে আঙুলের আলতো স্পর্শ দিব
সেটা আর হয়ে উঠে না,
লাজুকতা যে ঢেকে রেখেছে ইচ্ছেপনা
তবুও আমি আশা রাখি,
পুনঃস্মরিব তোমায়।
একদিন বলব তোমায়, দেখ আমিও পেরেছি
ইচ্ছে শক্তিকে আমি বাহুবন্ধ করেছি,
তোমাকে বর্ণিলতার অন্তরালে
     কাছে এনেছি।

Friday, September 30, 2016

স্বপ্ন বনাম মৃত্যু পূর্বাভাষ

প্রচলিত
রয়েছে যে, স্বপ্নে অনেক সময়ে আভাসিত হয়
আসন্ন মৃত্যুর পূর্বাভাসও।

বাস্তবে এই জাতীয় ঘটনার নজির রয়েছে।
আব্রাহাম লিঙ্কন তার মৃত্যুর কয়েক দিন আগে
স্বপ্নে নিজেকে কফিনে শায়িত থাকতে
দেখেছিলেন।

জুলিয়াস সিজার বা
ক্যালিগুলাও তাদের আসন্ন মৃত্যুর প্রতীকী
আভাস পেয়েছিলেন তাদের স্বপ্নে।

অলৌকিকতা নিয়ে
যারা চর্চা করেন, তারা বলছেন, কোনও ব্যক্তির
আসন্ন মৃত্যুর পূর্বলক্ষণ যেমন তার দেহে বা মনে
ধরা পড়ে তেমনই ধরা পড়ে স্বপ্নেও।

আসুন, জেনে নেই কিভাবে স্বপ্নে নিহিত
বিশেষ কিছু প্রতীক আপনার মৃত্যুর পূর্বাভাস
জানিয়ে দেয়।

"কালো বিড়াল"

কালো জাদু বা ডাইনি বিদ্যার চর্চা করেন
যারা তাদের কাছে কালো বিড়াল বিশেষ
তাৎপর্যবাহী। তারা মনে করেন, স্বপ্নে কালো
বিড়াল
দেখার অর্থ কোনও ঘোরতর অমঙ্গল ঘটতে
চলেছে জীবনে। এমনকী মৃত্যুও সেই অমঙ্গলের
সীমানাভুক্ত হতে পারে।

"সাপ"

স্বপ্নে সাপ-দর্শন পৃথিবীর বহু সংস্কৃতিতেই
অশুভ লক্ষণ বলে মনে করা হয়। স্বপ্নে দৃষ্ট সাপ
আসন্ন মৃত্যুর প্রতীক, এমনটাই বিশ্বাস।

"দাঁত পড়ে যাওয়া"

অনেকের মতে স্বপ্নে দাঁত পড়ে যেতে দেখা,
কোনও নিকটজনের আসন্ন মৃত্যুর দ্যোতক।

"দাঁড়কাক"

দাঁড়কাক বা অন্য কোনও কালো পাখি যদি
স্বপ্নে আবির্ভূত হয়, তাহলে তা নিকটাগত মৃত্যুর
লক্ষণ বলে ধরতে হবে।

"ক্রন্দনরত শিশুর পরিচর্যা"

যদি স্বপ্নে কোনও ক্রন্দনরত শিশুর পরিচর্যা
করতে দেখা যায় নিজেকে, তাহলে তা নিজের
অথবা কোনও নিকটজনের মৃত্যুর পূর্বাভাস
বলে ধরতে হবে।

"কোনও ডুবন্ত ব্যক্তিকে বাঁচানো"

বলা হয়, স্বপ্নে কোনও ব্যক্তিকে নিশ্চিৎ মৃত্যুর
হাত থেকে বাঁচালে জলের অশুভ শক্তির ক্রোধ
গিয়ে পড়ে রক্ষাকারী ব্যক্তির উপর। ফলে
এবার তারা সেই ব্যক্তিকেই মৃত্যুর দিকে টেনে
নেয়।

"একা একা মদ্যপান"

কোনও ব্যক্তি যদি স্বপ্নে দেখে যে, সে কোনও
শ্মশান বা কবরস্থানে কিংবা কোনও
পাহাড়চূড়ায় একা বসে মদ্যপান করছে, তাহলে
আদপে তার মৃত্যু তার ঘাড়ের উপর নিঃশ্বাস
ফেলছে।

"নাচ-গানে উচ্ছল আনন্দোৎসব"

কেউ যদি স্বপ্নে নিজেকে নাচে-গানে উচ্ছল
কোনও উৎসবে অংশগ্রহণ করতে দেখে, তাহলে
শিগগিরই সেই ব্যক্তি খুন হবে বলে মনে
করা হয়।

-থ্যসূত্র :
বিভিন্ন স্বপ্ন    বিশারদ

Thursday, September 29, 2016

টাকা ও সময়

আচ্ছা আপনি কি জানেন,আজকাল সময়কে ও টাকা দিয়ে কেনা যায়?
ইয়েস,হয়ত জেনে থাকবেন।
তারপর ও আমি না হয় সময় কিনে নেওয়ার একটা ছোট্ট উদাহরণ দিই:
ধরুন, আপনি চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা যাবেন বাসে করে।কিন্তু বাসে করে ঢাকা যেতে তো মিনিমাম চার ঘন্টা লাগবেই লাগবে।এত সময় আপনি খোয়াতে পারবেন না মানে,আপনার কাছে তখন সময়ের যথেষ্ট মূল্য।তো তখন যদি আপনি, আকাশপথে মানে হেলিকপ্টার বা বিমান যোগে একেবারে স্বল্প সময়ে পৌঁছে যেতে পারেন ব্যপারটা যেমন রোমাঞ্চকর হবে তেমনি আপনার সময়ও একেবারেই সেভ হবে।
এখন দেখলেন তো, টাকার কাছে সময়ও হার মেনে নিল।টাকা দিয়ে সময় কিনে নিলেন।
★★★বিশেষ দ্রষ্টব্য : সবকিছু টাকা দিয়ে কেনা যায় না। এটা কিঞ্চিৎ রম্য উদাহরণ মাত্র।★★★



-Ananda Mohan
USTC;EEE
         

Monday, September 26, 2016

পবিত্র পাপ

পবিত্র পাপ
               -আনন্দ মোহন
তোমারে ছুঁইব বলে নিয়েছি অনুমতি,
অনুমতি পেয়ে আমি
পরক্ষণে স্পর্শ করিলাম তোমার হাত।
ইচ্ছে করেছিল বাহুডোরে বাঁধি তোমারে
সেটার ও অনুমতি পেয়ে আমি
আরো গভীরে যাই তোমার।
তোমারি কামনার মায়াজালে
আস্তে আস্তে আষ্টেপৃষ্ঠে,
গাড়  করি তোমার শ্বাসপ্রশ্বাস।
মৃদুচুম্বনে আবদ্ধ করি তোমায় বাহুডোরে
হন্য হয়ে আমি মিটিয়ে নিই আমার
ক্ষুদার্ততার মিষ্ট স্বাধ,
এভাবে চলে তোমার আমার দিনকাল।

"তুমিময় জীবন "

আনন্দ মোহন

যেদিন দেখেছি তোমায়
ভেবেছিলাম তুমি বুঝি রুপেরি রাণী
তোমার লাস্যময়ী হাসি
ছুঁয়েছিল আমার হৃদয় বরংবার
তোমার খোলা চুল
আমায় অবাধ্য করেছিল বারবার
চাইতাম শুধু সেগুলো ছুঁয়ে দেখিব একবার।

এভাবে কেটে যায় কত সহস্র প্রহর,
একদিন রাত্রিতে দেখি
আমার রাজ্যে তুমি সেই রাত্রিচরী
হয়ে এসেছ আমার জীবন ভরে দিতে।

বুঝিলাম সে-রাত্রিতে আমি,
তুমিই আমার সেই স্বপ্নচারিণী।
এসেছ রংধনুর সাতরং হয়ে,
আজীবন রংধনুর পূর্ণতা দান করিতে।

Saturday, September 24, 2016

মনের সাথে দেহ দিলে

-মোহন

মনের সাথে দেহ দিলে
থাকল কি আর বাকি
উজাড় হয়ে শুন্যপানে
কাঁদছো কারে ডাকি?

দেনা পাওনার হিসাব নিকাস
করলে না তো আগে
বেলা শেষে শুন্য হয়ে 
মরছো মিছাই রাগে।

আবেগ থেকে জীবনটাকে
বিলিয়ে দেয়ার পর
লাভ হবে না পরবর্তীতে
কাঁদলে জীবন ভর।

কাঁদতে কাঁদতে জীবন যাবে
পাবে না আর কিছু
হিসাব ছাড়া জীবন যাদের
দুখ ছাড়ে না পিছু।

Wednesday, September 21, 2016

স্বামীজীর বিশ্বধর্ম মহাসভা এবং আমেরিকা ও ইংল্যান্ডে বক্তৃতাদান

স্বামীজীর বিশ্বধর্ম মহাসভা এবং আমেরিকা ও ইংল্যান্ডে বক্তৃতাদান
ধর্মসভা মঞ্চে স্বামী বিবেকানন্দ
ধর্মসভা ১৮৯৩ সালের ১১ই সেপ্টেম্বর শিকাগোর আর্ট ইনস্টিটিউটে উদ্বোধন হয়। এ দিন বিবেকানন্দ তাঁর প্রথম সংক্ষিপ্ত ভাষণ দেন। তিনি ভারত এবং হিন্দু ধর্মের প্রতিনিধিত্ব করেন।[৭৫] প্রথমদিকে বিচলিত থাকলেও তিনি বিদ্যার দেবী সরস্বতীর নিকট মাথা নোয়ালেন এবং তার বক্তৃতা শুরু করলেন এভাবে, “আমেরিকার ভ্রাতা ও ভগিনীগণ!”[৭৩][৭৬] তাঁর এ সম্ভাষণে প্রায় সাত হাজারের মত দর্শক-শ্রোতা দুই মিনিট দাঁড়িয়ে তাঁকে সংবর্ধনা জানান। নীরবতা ফিরে আসার পর তিনি তার বক্তৃতা শুরু করলেন। “যে ধর্ম বিশ্বকে সহিষ্ণুতা ও মহাজাগতিক গ্রহণযোগ্যতা শিখিয়েছে সে ধর্মের সর্বাধিক প্রাচীন সন্ন্যাসীদের বৈদিক ক্রমানুসারে” তিনি জাতিসমূহের কনিষ্ঠতমকে অভিবাদন জানালেন।[৭৭] এবং তিনি গীতা থেকে এ সম্পর্কে দুটি উদাহরণমূলক পঙ্ক্তি উদ্ধৃত করেন-“যেহেতু বিভিন্ন স্রোতধারাগুলির উৎসসমূহ বিভিন্ন জায়গায় থাকে, সেগুলির সবই সমুদ্রের জলে গিয়ে মিশে যায়, সুতরাং, হে প্রভু, বিভিন্ন প্রবণতার মধ্য দিয়ে মানুষ বিভিন্ন যে সকল পথে চলে, সেগুলো বিভিন্ন রকম বাঁকা বা সোজা মনে হলেও, সেগুলি প্রভুর দিকে ধাবিত হয়!” এবং “যে আকারের মধ্য দিয়েই হোক না কেন, যেই আমার নিকট আসে, আমি তাঁর নিকট পৌঁছাই; সকল মানুষই বিভিন্ন পথে চেষ্টা করছে যা অবশেষে আমার নিকট পৌঁছায়।”[৭৭] সংক্ষিপ্ত বক্তৃতা হওয়া সত্ত্বেও এটি সভার আত্মা এবং এর বিশ্বজনীন চেতনা ধ্বনিত করে।[৭৭][৭৮]
সভার সভাপতি, ডঃ ব্যারোজ বলেন, “কমলা-সন্ন্যাসী স্বামী বিবেকানন্দ ধর্মসমূহের মাতা ভারতের প্রতিনিধিত্ব করেছেন এবং তাঁর শ্রোতাদের উপর সবচাইতে বিস্ময়কর প্রভাব বিস্তার করেছেন।”[৭৬] প্রেসে তিনি প্রচুর মনোযোগ আকর্ষণ করেন যাতে তিনি “ভারতের সাইক্লোন সন্ন্যাসী” হিসেবে অভিহিত হন। নিউ ইয়র্ক ক্রিটিক লিখেছিল, “ঐশ্বরিক অধিকারবলে তিনি একজন বক্তা এবং হলুদ ও কমলার চিত্রবৎ আধানে তাঁর শক্তিশালী, বুদ্ধিদীপ্ত চেহারার চেয়ে কম আগ্রহোদ্দীপক ছিল না ঐ সকল সমৃদ্ধ ও ছন্দোময়ভাবে উচ্চারিত শব্দসমূহ। নিউইয়র্ক হেরাল্ড লিখেছিল, “বিবেকানন্দ নিঃসন্দেহে ধর্মসভার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব। তাঁর বক্তৃতা শুনে আমরা অনুভব করি এ শিক্ষিত জাতির নিকট মিশনারি পাঠানো কি পরিমাণ বোকামি।”[৭৯] আমেরিকার পত্রিকাসমূহ স্বামী বিবেকানন্দকে “ধর্মসভার সবচেয়ে মহান ব্যক্তিত্ব” এবং “সভার সবচেয়ে জনপ্রিয় ও প্রভাবশালী ব্যক্তি” হিসেবে প্রতিবেদন লেখে।[৮০]
তিনি সভায় আরো অনেকবার হিন্দুধর্ম ও বৌদ্ধধর্ম সম্পর্কিত বিষয়ে বলেন। সভা ১৮৯৩ সালের ২৭শে সেপ্টেম্বর সমাপ্ত হয়। সভায় তাঁর সকল বক্তৃতার একটি সাধারন বিষয়বস্ত্তু ছিল – সর্বজনীনতা – অধিক গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় সহিষ্ণুতা।[৮১]
আমেরিকা ও ইংল্যান্ডে বক্তৃতাদান:
শিকাগো আর্ট ইনস্টিটিউটে ১৮৯৩ সালের সেপ্টেম্বরে ধর্মসভা শেষ হবার পর বিবেকানন্দ পুরো দুই বছর পূর্ব ও কেন্দ্রীয় যুক্তরাষ্ট্রে বিশেষ করে শিকাগো, ডেট্রয়েট, বোস্টন এবং নিউইয়র্কে বক্তৃতা দেন। ১৮৯৫ সালের বসন্তকালের মধ্যে তাঁর অব্যাহত প্রচেষ্টার কারণে তিনি ক্লান্ত হয়ে পড়েন এবং তাঁর স্বাস্থ্য হয়ে পড়ে দুর্বল।[৮২] তাঁর বক্তৃতাদান সফর স্থগিত করার পর স্বামীজি বেদান্ত ও যোগের উপর বিনা মূল্যে ব্যক্তি পর্যায়ে শিক্ষা দেয়া শুরু করেন। ১৮৯৫ সালের জুন থেকে দুই মাসব্যপী তিনি থাউজ্যান্ড আইল্যান্ড পার্কে তাঁর এক ডজন শিষ্যকে ব্যক্তি পর্যায়ে শিক্ষা দেয়ার জন্য ভাষণ দেন। বিবেকানন্দ এটিকে আমেরিকায় তাঁর প্রথম ভ্রমণের সবচেয়ে সুখী অংশ বলে বিবেচনা করতেন। তিনি পরে “নিউইয়র্ক বেদান্ত সোসাইটি” প্রতিষ্ঠা করেন।[৮২]
আমেরিকায় তাঁর প্রথম পরিদর্শনের সময় তিনি ইংল্যান্ডে ভ্রমণ করেন দুইবার – ১৮৯৫ এবং ১৮৯৬ সালে। সেখানে তাঁর বক্তৃতাসমূহ সফল ছিল।[৮৩] এখানে তিনি সাক্ষাৎ পান এক আইরিশ মহিলা মিস মার্গারেট নোবলের যিনি পরে সিস্টার নিবেদিতা নামে পরিচিত হন।[৮২] ১৮৯৬ সালের মে মাসে তাঁর দ্বিতীয় ভ্রমণের সময় পিমলিকোতে এক গৃহে অবস্থানকালে স্বামীজি দেখা পান অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের এক বিখ্যাত ভারত বিশেষজ্ঞ ম্যাক্স মুলারের যিনি পাশ্চাত্যে রামকৃষ্ণের প্রথম আত্মজীবনী লেখেন।[৭৮] ইংল্যান্ড থেকে তিনি অন্যান্য ইউরোপিয়ান দেশেও ভ্রমণ করেন। জার্মানীতে তিনি আরেক ভারত বিশেষজ্ঞ পল ডিউসেনের সাথে সাক্ষাৎ করেন।[৮৪]
তিনি দুটি শিক্ষায়তনিক প্রস্তাবও পান, হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রাচ্য দর্শনের চেয়ার এবং কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়েও একই ধরণের প্রস্তাব। তিনি উভয় প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন এই বলে যে পরিভ্রমণকারী সন্ন্যাসী হিসেবে তিনি এই ধরণের কাজে স্থিত হতে পারবেন না।[৮২]
তিনি কতিপয় অকৃত্রিম শিষ্যকে আকৃষ্ট করেন। তাঁর অন্যান্য শিষ্যদের মধ্যে ছিল জোসেফিন ম্যাকলিয়ড, মিস মুলার, মিস নোবল, ই.টি.স্টার্ডি, ক্যাপটেন এবং মিসেস সেভিয়ের-যারা অদ্বৈত আশ্রম প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন জে জে গুডউইন-যিনি তাঁর স্টেনোগ্রাফার হন এবং তাঁর শিক্ষা ও বক্তৃতাসমূহ রেকর্ড করেন।[৮২][৮৪] হেল ফ্যামিলি আমেরিকাতে তাঁর উষ্ণতম আতিথ্যকর্তাদের অন্যতম ছিলেন।[৮৫] তাঁর শিষ্যগণ-ফ্রেঞ্চ মহিলা ম্যাডাম লুই হন স্বামী অভয়ানন্দ এবং মিস্টার লিয়ন ল্যান্ডসবার্গ হন স্বামী কৃপানন্দ। তিনি কতিপয় অন্যান্য শিষ্যকে ব্রহ্মচারীতে দীক্ষা দেন।[৮৬]
স্বামী বিবেকানন্দের ধারণাসমূহ বেশ কয়েকজন পন্ডিত ও বিখ্যাত চিন্তাবিদ কর্তৃক প্রশংসিত হয়-উইলিয়াম জেমস, জোসেফ রয়েস, সি.সি. এভারেট, হার্ভার্ড ধর্মশাস্ত্র বিদ্যালয়ের ডিন, রবার্ট জি ইনগারসোল, নিকোলা টেসলা, লর্ড কেলভিন এবং অধ্যাপক হারম্যান লুডউইক ফারডিন্যান্ড ভন হেলমহোলটজ।[৮] অন্যান্য ব্যক্তিত্ব যারা তাঁর কথাবার্তায় আকৃষ্ট হন তারা হলেন হ্যারিয়েট মনরো এবং এলা হুইলার উইলকক্স-দুজন বিখ্যাত আমেরিকান কবি, হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক উইলিয়াম জেমস; ব্রুকলিন এথিক্যাল এসোসিয়েশনের সভাপতি ডক্টর লুইজ জি জেনস; নরওয়ের পিয়ানোবাদক ওলে বুলের স্ত্রী সারা সি বুল; ফ্রান্সের অভিনেত্রী সারাহ বার্ণহারট এবং ফ্রান্সের অপেরা সঙ্গীতশিল্পী ম্যাডাম এমা ক্যালভি।[৮৭]
পশ্চিম থেকেও তিনি তাঁর ভারতীয় কাজে গতি আনেন। বিবেকানন্দ ভারতে অবস্থানরত তাঁর অনুসারী ও সন্ন্যাসী ভাইদের উপদেশ দিয়ে এবং অর্থ পাঠিয়ে বিরামহীনভাবে চিঠি লেখেন। পাশ্চাত্য থেকে পাঠানো তাঁর চিঠিসমূহ সে দিনগুলিতে সামাজিক কাজের জন্য তাঁর প্রচারাভিযানের চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করেছিল।[৮৮] তিনি ভারতে তাঁর নিকট শিষ্যদের বড় কিছু করার জন্য অনুপ্রাণিত করতে চেষ্টা ক্রমাগত চেষ্টা চালিয়ে যান। তাদের নিকট পাঠানো তাঁর চিঠিসমূহে তাঁর সবচেয়ে কঠিন কিছু শব্দ ছিল।[৮৯] এ রকম একটি চিঠিতে তিনি স্বামী অক্ষরানন্দকে লিখেছিলেন, “খেতরী শহরের দরিদ্র ও নিচু শ্রেণীর ঘরে ঘরে যাও এবং তাদের ধর্মশিক্ষা দাও। ভূগোল এবং অন্যান্য বিষয়েও তাদের মৌখিক শিক্ষা দিও। অলসভাবে বসে থেকে, রাজকীয় খাবার খেয়ে আর “রামকৃষ্ণ, ও প্রভু!” বলে ভাল কিছু হবে না-যদি না তুমি দরিদ্রদের জন্য ভাল কিছু করতে পার।”[৯০][৯১] পরিণামস্বরুপ ১৮৯৫ সালে বেদান্ত শিক্ষার উদ্দেশ্যে বিবেকানন্দের সরবরাহকৃত অর্থে মাদ্রাজে “ব্রহ্মাবদীন” নামে এক সাময়িকপত্র প্রকাশ করা শুরু হয়েছিল।[৯২] পরবর্তীকালে (১৮৮৯) “ব্রহ্মাবদীনে” “দি ইমিটেশন অফ ক্রাইস্ট” এর প্রথম ছয় অধ্যায়ের বিবেকানন্দকৃত অনুবাদ প্রকাশিত হয়েছিল।[৯৩]
বিবেকানন্দ তাঁর শিষ্য ক্যাপ্টেন এবং মিসেস সেভিয়ের ও জে জে গুডউইনকে নিয়ে ১৮৯৬ সালের ১৬ই ডিসেম্বর ইংল্যান্ড ছেড়ে ভারতের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন। পথিমধ্যে তারা ফ্রান্স ও ইটালী ভ্রমণ করেন এবং লিওনার্ডো ডা ভিঞ্চির দি লাস্ট সাপার দর্শন করে ১৮৯৬ সালের ৩০শে ডিসেম্বর ভারতের উদ্দেশ্যে ন্যাপলস বন্দর ত্যাগ করেন।[৯৪] পরবর্তীতে মিস মুলার এবং সিস্টার নিবেদিতা ভারতে তাঁকে অনুসরণ করেন। সিস্টার নিবেদিতা তার বাকী জীবন ভারতীয় নারীদের শিক্ষায় এবং ভারতের স্বাধীনতা অর্জনে নিয়োজিত করেন।[৮২][৯৫]

Sunday, September 18, 2016

বাস্তবিক বাস্তবতা

বাস্তবিক বাস্তবতা

মোবাইল যেমন আপডেট নেয় । তেমন মানুষও আপডেট নেয় । সময়ে সময়ে মানুষের ভেতরে আপডেট আসে ...

তুমি যদি ভাবো, ক্লাস টুতে পড়া ছাত্রীটা সেই আগের মতনই তোমাকে স্যার স্যার বলে দৌড়ে আসবে... সেটা ভুল!

তুমি যদি ভাবো, হাই স্কুলের বন্ধুগুলো যেমন ছিল অনেক বছর পরে দেখা হলেও দেখবে ঠিক তেমন আছে... সেটা ভুল!

তুমি যদি ভাবো তোমার প্রতি খুব পাগল হওয়া মেয়েটা বিয়ের অনেক বছর পরেও তোমাকে দেখে ঠিক আগের মতন চাহনি দিবে... সেটা ভুল!

তুমি হয়ত ভেবে বসে আছ, ৫ বছর আগের মানুষটা! যে মানুষটা যেমন ছিল, বিদেশ থেকে ফিরে ৫ বছর পর সেই মানুষটা ঠিক আগের মতন আছে সেটা কিন্তু ভুল...

তুমি এমন আশা করলে ধাক্কা খাবে! আমাদের একটা জীবনে অনেকগুলো জীবন লুকিয়ে থাকে... একটা ফুল, তার অনেক গুলো পাপড়ি । হয়ত কিছু পাপড়ি সুন্দর, কিছু পোকায় খাওয়া!

এক জীবনে অনেক জীবন বলতে ধরো, স্কুল জীবন, ভার্সিটি জীবন, মেস জীবন, চাকরী জীবন, প্রেম জীবন বলেও একটা ব্যাপার আছে আবার আছে সংসার জীবন, প্রবাস জীবন আছে...

একেক জীবনে মানুষগুলো একেক রকম হয়ে যায়, পরিবেশ তাকে বানিয়ে দেয়! তার ভেতরে চেঞ্জ আসে... তার চোখে মুখে কথায়, আচরণে ভাবনায়...

তবু কিছু কিছু মোবাইলের কোন আপডেট আসে না । তিন বছর আগেও যা, তিন বছর পরেও তা...

এরকম কিছু মানুষ আছে, যাদের সবাই ব্যাকডেটেড বলে! এরা বোকা! এরা সব সময় ভাবে সব কিছু বুঝি আগের মতন আছে...

সেই তো বুদ্ধিমান মানুষ, যে সময় এবং পরিস্থিতিতে নিজেকে মানিয়ে নেয়, সামনের দরজাটা বন্ধ হয়ে গেলে চেষ্টা করে অন্য একটা দরজা খুঁজে বের করতে...

দরজা না পেলে, জানালা ভেঙ্গে বের হয়ে যায় । বিপদ থেকে... দুঃসময় থেকে... বাজে পরিস্থিতি থেকে...

সব কিছু আগের মতন আছে ভেবে বসে বসে বোকার স্বর্গে বাস করা কাজের কথা না... পৃথিবীর মতন ছুটে চলাটাই জীবন... আনন্দময় জীবন!


--- আনন্দ মোহন
"বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম"

সফলতায় গুণীজন

সফলতায় গুণীজন


একজন কয়েদীর কথা জানি। কয়েদী নাম্বার ৪৬৬৬৪।
২৭ বছর জেলে থাকার পরেও উনি নোবেল শান্তি
পুরষ্কার জিতেছেন।
- তিনি নেলসন মেন্ডেলা।


:
আরেক পিতৃপরিচয়হীন যুবকের কথা জানি।
থাকার কোনো রুম ছিল না তার, বন্ধুদের রুমের ফ্লোরে
ঘুমাতেন। ব্যবহৃত কোকের বোতল ফেরত দিয়ে পাঁচ সেন্ট
করে কামাই করতেন, যেটা দিয়ে খাবার কিনতেন। প্রতি
রোববার রাতে তিনি সাত মাইল হেঁটে হরেকৃষ্ণ মন্দিরে
যেতেন শুধু একবেলা ভালো খাবার খাওয়ার জন্য।
- তিনি অ্যাপল এবং পিক্সার অ্যানিমেশন প্রতিষ্ঠানের
প্রতিষ্ঠাতা এবং সিইও- স্টিভ জবস।


:
আরেক যুবকের নাম জানি, মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্ম।
তাঁকে বলা হয় হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সবচেয়ে সফল
ড্রপ আউট। স্যাট পরীক্ষায় ১৬০০ নম্বরে ১৫৯০ পান তিনি।
কিন্তু কম্পিউটার সফটওয়্যার তৈরির নেশায় তিনি
হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নাম কাটান। ড্রপ আউট
হওয়ার ৩২ বছর পরে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন
অনুষ্ঠানে সমাবর্তন বক্তা ছিলেন তিনি।
- তিনি বিল গেটস।


:
আরেক এতিমের কথা জানি।
১১ বছর বয়সে এতিম হন। ১২ বছর বয়সে ঘর থেকে পালিয়ে
যান। হতাশ হয়ে ১৯ বছর বয়সে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন।
অনেক বিখ্যাত বইয়ের লেখন তিনি তার মধ্যে “আমার
বিশ্ববিদ্যালয়” একটি, যদিও তিনি কোন দিন কোন
বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা করা সুযোগ পান নাই।
- তিনি বিখ্যাত লেখক, নাট্যকার আর রাজনীতিবিদ
মাক্সিম গোর্কি।


:
আরেকজন, বাবার সাথে মুদি দোকান করতো। পরিবারের
এতই অভাব ছিলো যে- স্কুল নাগাত পড়েই তাকে থেমে
যেতে হয়েছিলো। সেই ব্যাক্তিই একসময় হয়ে উঠে
বিরাট বিপ্লবী নেতা।
- তিনি চীনের প্রতিষ্ঠাতা মাও সেতুং।


:
অভাবের তাড়ানায় কুলিগিরি করতো। একদিন বাসের
কন্ডাক্টরের কাজের জন্য গেলে তাকে ধাক্কা দিয়ে
বের করে দেওয়া হয়। যে যুবকটি অংকে পারদর্শী নয় বলে
বাসের কন্ডাক্টর হতে পারেনি, পরবর্তীতে সে-ই হয়
ব্রিটেনের অর্থমন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রী। - - নাম জন মেজর।
:


আরেক ছেলের, বাবা-মা এতই গরিব ছিলো যে, তার
জন্মের পর নাম রেজিস্ট্রি করতেই দু’দিন দেরি হয়। কে
জানেন?
সে-ই আজকের ফুটবল কিংবদন্তী!
- নাম রোনাল্ডো।


:
বাবা ছিলো জেলে। ছেলেকে সাথে করে বাবা মাছ
ধরতো কারন অন্য স্বাভাবিক আর ১০ জন থেকে তিনি
পানির নিচে মাছকে খুব ভাল ভাবে দেখতে পেতেন।
- সেই জেলের ছেলে শ্রীলঙ্কার ক্রিকেট সুপারস্টার
জয়সুরিয়া।


:
পড়ালেখায় মারাত্মক দুর্বল ছিলেন তিনি। কোন কিছু
মনে থাকত না। ক্লাস এর শেষ বেঞ্চে বসে থাকেন। ফেল
করেছেন বারবার। ক্লার্ক এর চাকরিও করছেন তিনি।
পুরো পৃথিবীকে অবাক করেছেন তিনি তার থিউরি অফ
রিলিটিবিটি দিয়ে। নোবেল ও জিতেছেন তিনি।
- তার নাম আলবার্ট আইনস্টাইন!


:
ক্লাস এর সবচেয়ে দুর্বল ছাত্র ছিলেন তিনি। স্কুল থেকে
বহিস্কারও করা হয়েছে তাকে। পৃথিবী তিনি আলোকিত
করেছেন তার আবিষ্কার দিয়ে।
- তার নাম টমাস আলভা এডিসন।


:
উল্টা লিখতেন তিনি শব্দগুলোকে। পড়ালেখায় একদন
শুন্য। উড়োজাহাজ আবিস্কারের ৪০০ বছর আগে তিনি
উড়োজাহাজের মডেল এঁকে গেছেন।
- তিনি লিওনার্ড ডা ভিঞ্ছি।


:
পরীক্ষায় তিনি সব সময় ফেল। ২২ টা একাডেমিক
পুরষ্কার জিতেছেন জিব্বদশায়। তিনি মিকি মাউস,
ডোনাল্ড ডাক এর জন্মদাতা। মিকি মউসের গলার স্বর
তার নিজের দেওয়া।
- তিনি ওয়াল্ট ডিসনি।


:
শব্দের খেলা তিনি বুজতেন না। 7 নাম্বার কে তিনি
বলতেন উল্টা নাক!!!! এই স্প্যানিশ ভদ্রলোক একজন কবি,
লেখক, পেইন্টার, কেমিস্ট, স্টেজ ডিজাইনার, ভাস্কর।
- তিনি পাবলো পিকাসো।


... ... ...
পৃথিবীর প্রত্যেকটা মানুষই ইউনিক, তার ভাবনাগুলি তার
মতই। সবাই যা পারে, আমাকেও তা-ই পারতে হবে, এমন
কিছুতো নয়!!!!
শুধু প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা দিয়ে নিজেকে প্রমান করতে
হবে কেন? আমাদের সমস্যাটা ওখানেই। আমাদের
প্রত্যেক ঘরে ঘরে Toppers আর Rankers চাই।
সবাইকেই ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, ব্যারিস্টার,
ম্যাজিস্ট্রেট...... হতেই হবে!!!!
আঙ্গুলকে টেনে লম্বা করতেই হবে, যে ভাবেই হোক......!!!
দরকার হলে আঙ্গুল ভেঙ্গে যাক!!! একটা কথা মনে রাখ
"পৃথিবীতে সবাই জিনিয়াস, কিন্তু আপনি যদি একটি
মাছকে তাল গাছ বেয়ে ওঠার ক্ষমতা দিয়ে বিচার করেন,
তবে সে সারাজীবন নিজেকে অপদার্থই ভেবে যাবে"
............... আলবার্ট আইনস্টাইন।


যেভাবে গণিতের জন্ম

যেভাবে গণিতের জন্ম

তথ্য: আনন্দ মোহন 
গণিত ও সংখ্যাকে বলা হয় মহাজগতের ভাষা। গণিত আছে বলেই আমরা জগতের অনেক কিছুর ব্যাখ্যা জানি। গণিতের যথার্থ ব্যবহার ও প্রয়োগের মাধ্যমে আমরা পেয়েছি একটি আধুনিক ও উন্নত সভ্যতা। প্রাগৈতিহাসিক মানুষ গণনা করতে পারত না, হিসাব কষা তো দূরে থাক। তাহলে কালের ঠিক কোন দিগন্ত থেকে আবির্ভাব হলো সংখ্যার ধারণা। কে বা কারা প্রথম পরিচয় করিয়ে দিল গণিতের সঙ্গে, যার স্পর্শে পাল্টে গেল মানব সভ্যতার ইতিহাস?
গল্পের শুরুটা হয়েছিল আনুমানিক ৫৫০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দে। বর্তমান ইরাকের দক্ষিণ অংশ তৎকালীন সময়ে মেসোপটেমিয়া নামে পরিচিত ছিল। মেসোপটেমিয়ার বাসিন্দা ছিল সুমেরীয়রা, যেটাকে আমরা অনেকে প্রাচীন সুমেরীয় সভ্যতা নামে চিনি। তারা ছিল পৃথিবীর প্রথম সংগঠিত ও শহুরে বসবাসকারী মানবসম্প্রদায়। দৈনন্দিন প্রয়োজন ও ক্রয়-বিক্রয়ের চাহিদা থেকে সেখানে গণনা করার রীতি প্রচলিত হয়। যেহেতু তখনো কেউ লিখিত পদ্ধতির প্রচলন শুরু করেনি, তাই তারা একধরনের মাটির তৈরি টোকেন উদ্ভাবন করে (দেখতে কিছুটা পেরেক আকৃতির) এবং প্রতিটি টোকেন দ্বারা একটি অঙ্ক বোঝানো হতো। শহুরে নাগরিকদের কর, রাজস্ব আদায়ের হিসাব-নিকাশ, পণ্যদ্রব্যের হিসাব, পশু গণনা ইত্যাদি কাজে ব্যবহার করা হতো এগুলো। এটাই ছিল গণিতের সূচনা।
এভাবে পেরিয়ে যায় প্রায় এক হাজার বছর। সুমেরীয় সভ্যতা ধীরে ধীরে কালের ধ্বংসলীলায় মিলিয়ে যেতে থাকে। নতুন সাম্রাজ্যের বিকাশ ঘটে আর সুমেরীয়দের অর্জিত জ্ঞানের শিখা ছড়িয়ে পরে দূরবর্তী নীলনদের কোল ঘেঁষে যাওয়া আরবের আরেক বিখ্যাত ভূখণ্ডে, যেটি আজকের মিসর। জ্ঞান পিপাসু মিসরীয়রা গণিত ভালোবাসত। প্রাচীন মিসরের শিশুরা বালুতে দাগ কেটে সংখ্যার কাল্পনিক প্রতিকৃতি একে খেলা করত। এই সভ্যতার বিশেষ বৈশিষ্ট্য ছিল সুবিশাল ও মনোমুগ্ধকর অট্টালিকা নির্মাণের পারদর্শিতা। নিখুঁত ও সুন্দর স্থাপত্য নির্মাণের জন্য প্রয়োজন নির্ভুল পরিমাপ। আর নির্ভুল পরিমাপের জন্য প্রয়োজন সংখ্যার সঠিক হিসাব। হিসাব ও পরিমাপকে অপররে কাছে প্রকাশ করার জন্য তারা বিভিন্ন চিত্রলিপি যেমন বস্তু ও প্রাণীর প্রতিমূর্তি ব্যবহার করত, যার কিছু নমুনা মিসরিয়ান হায়ারোগ্লিপে পাওয়া যায়।
কাটল আরও কয়েক হাজার বছর। সুদূর গ্রিস থেকে এক বিদ্যানুরাগী মিসরে আসলেন অধ্যয়ন করতে। প্রাচীন গ্রিসের মানুষ তখন গণনা করতে শেখেনি। আরব বিশ্বের চেয়ে তারা কয়েক হাজার বছর পিছিয়ে। বিদ্যানুরাগী সেই ব্যক্তিটি মিসরীয়দের প্রযুক্তি জ্ঞান দেখে অভিভূত হন। গণিতকে তিনি মনে প্রাণে ভালোবাসতে থাকেন এবং নিজ দেশ গ্রিসে ফিরে এসে গণিত শিক্ষার একটি স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি হলেন পিথাগোরাস। পিথাগোরাস মনে করতেন মহাবিশ্বের সব লুকায়িত সৌন্দর্যের রহস্য হচ্ছে সংখ্যা। তিনি লক্ষ্য করেন দুটি আলাদা বস্তুর ওজন যদি কাছাকাছি কোনো পূর্ণ সংখ্যার অনুপাত হয় (যেমন ১: ২ অনুপাত ওজনের দুটি আলাদা মাটির পাত্র) তাহলে তাদের আঘাত করলে সাদৃশ্যপূর্ণ সুরেলা আওয়াজ উৎপন্ন হয়। সংগীতের এই মাধুর্যপূর্ণ ধ্বনির মিলনের পেছনে আছে সংখ্যার অপূর্ব বিন্যাস। জোড় ও বিজোড় সংখ্যার ধারণাও পিথাগোরাস সর্ব প্রথম বের করেন। এমনকি তিনি সংখ্যার লিঙ্গও নির্ধারণ করে দেন; এক পুরুষ এবং দুই নারী। সংখ্যার ব্যবহার পিথাগোরাস এতটা জনপ্রিয় করে তোলেন যে গ্রিকরা এক–কে তাদের দেবতার প্রতিমূর্তি বানিয়ে পূজা শুরু করে দেয়।
পিথাগোরাসের মৃত্যুর ২০০ বছর পর গ্রিসে জন্ম হয় আর্কিমিডিসের। তাকে প্রাচীন যুগের সেরা গণিতজ্ঞ ও দার্শনিক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। সংখ্যা নিয়ে তার এত প্রখর জ্ঞান ছিল যে, তিনিই প্রথম প্রমাণ করেন একটি বৃত্তের ক্ষেত্রফল তার ব্যাসার্ধের বর্গ ও পাইয়ের গুণফলের সমান। এ ছাড়া আধুনিক ইন্টিগ্রাল ক্যালকুলাসে ব্যবহৃত অতিক্ষুদ্র সংখ্যার ধারণা ও অতি বৃহৎ কোনো সংখ্যাকে ছোট আকারে প্রকাশ করার পদ্ধতিও তিনি বের করেন। ৭৫ বছর বয়সে আর্কিমিডিস এক রোমান সৈন্যের হাতে মৃত্যুবরণ করেন। আর্কিমিডিসের মৃত্যুর পরও ক্ষমতালোভী রোমানরা বহু শতাব্দী জুড়ে ইউরোপ, আফ্রিকা ও এশিয়ার একটি বড় অংশ জুড়ে সাম্রাজ্য বিস্তার ঘটায়।
গ্রিকদের উদ্ভাবিত গাণিতিক পন্থাকে রোমানরা পুরোদমে ব্যবহার করে গাণিতিক সফলতাকে আরও একধাপ এগিয়ে নিয়ে যায়। রোমানদের ব্যবহৃত রোমান সংখ্যার প্রচলন আজও আছে।
যাই হোক, গণিত বিপ্লবের এত সহস্র বছর পেরিয়ে গেলেও একটি সংখ্যার ব্যবহার মানুষ তখন জানত না, সেটি হলো শূন্য। যদিও প্রাচীন মিসরীয়রা শূন্যকে কেবলমাত্র একটি প্রতীক হিসেবে ব্যবহার করত এবং তারা এটাকে নফর (nfr) নামে ডাকত, যার অর্থ সুন্দর। কিন্তু শূন্য তখনো সংখ্যার মর্যাদা পায়নি। মূলত শূন্য হলো সকল সংখ্যার ভিত্তি ও শূন্যের ব্যবহার ছাড়া বীজ গাণিতিক সমীকরণ লেখা সম্ভব নয়। শূন্যকে সংখ্যা হিসেবে প্রথম ব্যবহার করেন প্রাচীন ভারতীয় গণিতবিদেরা। তারাই শূন্যকে বাকি বিশ্বের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন। ভারতীয়রা বহু প্রাচীনকাল থেকে জ্যোতির্বিজ্ঞান ও সংখ্যা বিদ্যায় বেশ পারদর্শী ছিল। পৃথিবী নিজ অক্ষকে কেন্দ্র করে সূর্যের চারপাশে ঘুর্নায়মান এটা তারা নিকোলাস কোপার্নিকাসের জন্মের প্রায় এক হাজার বছর আগে তত্ত্ব প্রদান করেন। সর্ব প্রথম পৃথিবীর ব্যাস নির্ণয় করেন ভারতীয়রা, যেটা এতটাই সূক্ষ্ম ছিল যে আজকের হিসাবের সঙ্গে শতকরা ৯৯ ভাগেরও বেশি মিলে যায়। আর এগুলো সবই সম্ভব হয়েছিল সংখ্যার নির্ভুল গণনার মাধ্যমে।
আনুমানিক ৭৭৩ খ্রিষ্টাব্দে একজন ভারতীয় বার্তাবাহকের ইরাকে আগমনের মধ্য দিয়ে আরবের মানুষ শূন্যের সঙ্গে পরিচিতি লাভ করে। রাজধানী বাগদাদ ছিল সেসময় মনীষীদের জ্ঞানচর্চার প্রধান কেন্দ্র। দূর-দুরান্ত এমনকি চীন ও ভারত উপমহাদেশ থেকে প্রচুর ব্যবসায়ী ও বিজ্ঞানী বাগদাদে পাড়ি জমান। তাদের মধ্যে একজন ছিলেন আল খোয়ারিজমি, যার জন্মস্থান নিয়ে ইতিহাসবিদদের মধ্যে মতভেদ আছে। আল খোয়ারিজমিকে আধুনিক বীজগণিতের জনক বলা হয়। তিনি সর্ব প্রথম গুন ও ভাগ করার জন্য সহজ প্রক্রিয়া উদ্ভাবন করেন যেটাকে আমরা অ্যালগরিদম বলি। আর সেই অ্যালগরিদম ব্যবহার করে আজকের কম্পিউটার তার যাবতীয় জটিল গাণিতিক সমস্যার সমাধান করে। এক কথায় আমাদের আজকের আধুনিক ডিজিটাল দুনিয়া পরিচালিত হচ্ছে অ্যালগরিদমিক ফর্মুলাকে কাজে লাগিয়ে।
সেই সময় আরবের বণিকেরা আশপাশের অঞ্চলে ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য প্রচুর যাতায়াত করতেন। আরবিয় বণিকদের কাছ থেকে শূন্যের ব্যবহার সম্পর্কে অবগত হন তৎকালীন উত্তর আফ্রিকার বণিকেরা। আর তারাও ভারতীয়দের আবিষ্কৃত সংখ্যা পদ্ধতিকে নিজেদের মধ্যে বেশ জনপ্রিয় করে তোলেন।
১১০০ সালের শেষের দিকে সালে উত্তর আফ্রিকার দেশ আলজেরিয়াতে বেড়ে ওঠা এক তরুণ গণিতবিদের প্রচেষ্টায় শূন্যের ব্যবহার ছড়িয়ে পরে ইউরোপে। সেই তরুণের নাম ফিবোনাচ্চি (Fibonacci)। গণিতের জন্য পৃথিবীতে যে কজন পূর্ণ অবদান রেখে গেছেন তিনি ছিলেন তাদের মধ্যে অন্যতম। ফিবোনাচ্চি জন্মসূত্রে ইতালির নাগরিক হলেও বাবার সঙ্গে ব্যবসার সুবাদে এসেছিলেন আলজেরিয়াতে। তিনি ১২০০ সালে নিজ দেশ ইতালিতে ফিরে প্রকাশ করেন লিবার আবাচি (Liber Abaci), ইংরেজি নাম The Book of Calculation, যেখানে তিনি সর্ব প্রথম আল খোয়ারিজমির উদ্ভাবিত বীজ গাণিতিক ধারণাকে ইউরোপিয়ানদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন।
এরপর থেকে মানবসভ্যতাকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। আধুনিক গণিত ও প্রযুক্তি চর্চার মাত্রা ধীরে ধীরে উন্নত হতে থাকে। সপ্তদশ শতকে গটফ্রিড ভিলহেল্ম নামের একজন জার্মান গণিতবিদ বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতি উদ্ভাবন করেন যাতে সকল সংখ্যাকে কেবলমাত্র ০ ও ১ দিয়ে প্রকাশ করা হয়। এই সংখ্যা পদ্ধতির ভিত্তি দুই। ডিজিটাল ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতির লজিক গেটে বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতির ব্যাপক প্রয়োগ রয়েছে। আধুনিক কম্পিউটারে বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। বাইনারি পদ্ধতিতে প্রতিটি অঙ্ককে বিট বলা হয়। এ রকম ৮টি বিট মিলে গঠিত হয় এক বাইট। ১০০০ বাইটে এক কিলোবাইট। কিলোবাইট থেকে মেগাবাইট, মেগাবাইট থেকে গিগাবাইট ইত্যাদি। আজকের পৃথিবীর প্রতিটি ডিজিটাল যন্ত্রের মেমরিই বিট আকারে জমা থাকে। এভাবেই সংখ্যার জাদুকরী স্পর্শে আমরা পাল্টাতে পেরেছি আমাদের জীবনব্যবস্থা। সুদূর অতীতে কোনো এক আদি পিতামহের ক্ষুদ্র প্রয়াসই আমাদের এই আজকের নবীন সভ্যতার সার্থক জনক।

Sunday, August 21, 2016

নদী

নদী
-আনন্দ মোহন

নদী, তুমি বহিয়া যাও আপন মনে
      রুধির ধারার মতন
     মানো নাকো কোন বাধা,সামনে যাহা পাও তাহা নিয়ে ছুটিয়া যাও আপন মনে।
তোমারি গর্ভে বিলীন হয়েছে যে কত জনপদ।
তার কোন ইয়ত্তা নেই
তবুও তুমি থামো না,বহিয়া যাও অনন্তকাল।

নদী, তোমারি ধ্বংস যজ্ঞের শিকার অগণিত সৃষ্টি
তবুও তুমি ছুটিয়া যাও আপন মনে।
কত মনুষ্যের কান্না তুমি দেখিয়াছ নীরবে নিভৃতে
তবুও তুমি থামো না,থামো না।

Thursday, August 18, 2016

মাইক্রোকম্পিউটার

মাইক্রোকম্পিউটার 
মাইক্রোপ্রসেসর একাকী কাজ করতে পারে না। মাইক্রোপ্রসেসর কি কাজ করবে, সে নির্দেশনা রাখার জন্য প্রোগ্রাম মেমোরি (ROM) দরকার হয়। আবার যে ডাটাকে বিশ্লেষণ করবে সে ডাটা পাওয়ার জন্য মাইক্রোপ্রসেসরের সথে ডাটা মেমোরি (RAM) অথবা ইনপুট ডিভাইস যুক্ত থাকা আবশ্যক। সর্বশেষ বিশ্লেষণকৃত ডাটা সরবরাহ করতে মাইক্রোপ্রসেসরের সথে আউটপুট ডিভাইস সংযুক্ত থাকতে হবে।
এভাবে মাইক্রোপ্রসেসর দিয়ে কাজ করার পরিবেশ তৈরি করার জন্য এর সাথে মেমোরি, ইনপুট ও আউটপুট ডিভাইস সংযোগ করলে যে সিস্টেম তৈরি হয়, সেটাকে বলা হয় মাইক্রোকম্পিউটার।
মাইক্রোকম্পিউটারের মৌলিক অংশ হল ৪ টি।
ক) ইনপুট ডিভাইস
খ) মাইক্রোপ্রসেসর
গ) মেমোরি
ঘ) আউটপুট ডিভাইস
তবে এগুলো ছাড়াও মাইক্রোকম্পিউটারের সাথে A/D কনভার্টার, টাইমার/কাউন্টার, D/A কনভার্টার ইত্যাদি বিভিন্ন অংশ যুক্ত থাকতে পারে।
ছবিতে, মাইক্রোকম্পিউটার Diagram

মাইক্রোপ্রসেসর

মাইক্রোপ্রসেসর  হল রেজিস্টার (Register) দিয়ে তৈরি programmable ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস, যেটি ব্যবহারকারী কর্তৃক মেমোরিতে লোড করা নির্দেশনা অনুযায়ি input ডিজিটাল ডাটাকে বিশ্লেষণ (গাণিতিক অথবা লজিকাল বিশ্লেষণ) করে ফলাফল প্রদান করে।
,
ছবিতে মাইক্রোপ্রসেসর

Wednesday, August 17, 2016

মাইক্রোকন্ট্রোলার (Microcontroller)

মাইক্রোকন্ট্রোলার (Microcontroller)
, একে বলা হয়
কম্পিউটার IC (Integrated Circuit) অর্থাৎ একটি IC এর
ভেতরে কম্পিউটার (Computer in a single chip).
কম্পিউটারের অভ্যন্তরে যেমন মাইক্রোপ্রসেসর,
RAM, ROM, serial port, I/O port, timer/counter ইত্যাদি থাকে।
তেমনি মাইক্রোকন্ট্রোলারের ভিতরেও এ সব কিছুই
থাকে। কম্পিউটার দিয়ে আপনি যেমন অনেক জটিল জটিল
সমস্যা নিমেষেই সমাধান করে ফেলতে পারেন, তেমনি
মাইক্রোকন্ট্রোলার দিয়ে আপনি অনেক জটিল জটিল
ইলেক্ট্রনিক প্রোজেক্ট তৈরি করে ফেলতে পারবেন
সহজেই। মাইক্রোকন্ট্রোলার (Microcontroller)
সম্পর্কে জানা থাকলে রবোটিক্স, অটোমেশন,
কন্ট্রোল সিস্টেম, সিকিউরিটি সিস্টেম ইত্যাদি যে কোন
বিষয়ক প্রোজেক্টকে আপনার কাছে ছেলে খেলাই
মনে হবে।

মাইক্রোকন্ট্রোলারেরের ফিচার গুলো হলঃ

১। ইনপুট আউটপুট কন্ট্রোলার
২। এনালগ টু ডিজিটাল কনভার্টার (এ,ডি,সি)
৩। টাইমার
৪। কাউন্টার
৫। পি,ডাবলিও, এম
৬। ইউ, এস, এ, আর, টি
৭। টিএক্স, আরএক্স

★★★সাথেই থাকুন,মাইক্রোকন্ট্রোলার নিয়ে আমরা ধারাবাহিকভাবে বিস্তারিত আলোচনা করব★★★

"সফলতা"

সফলতা বা SuccesS

সফলতা বা Success, যা সবাই অর্জন করে নিতে পারে না।এর পিছনে অনেক কারণ আছে কেউ পারে না নিজের অনীহার কারণে,কেউ পারে না তার নিজের আত্মবিশ্বাস এর অভাব এর কারণে আবার কেউ পারে না নিজের ডিপ্রেশন বা হতাশার কারণে।

তো যেটা না বললেই নয়, সেটা হচ্ছে সফল কেউ আপনা আপনি হয় না।তারজন্য প্রয়োজন হয় নিজের সর্বোচ্চ ইচ্ছাশক্তি,মনোবল, একননিষ্ঠতা,একাগ্রতা সব শেষে যেটা বেশী প্রয়োজন সেটা হলো অধ্যবসায়।আরো একটা জিনিষ প্রয়োজন সেটা হল অন্যকে(যারা জীবনযুদ্ধে সফলল) অনুসরণ করা কিন্তু তাকে অনুকরণ করে নয়।মনে রাখবেন, "সূর্যকে প্রণাম নয় তার আলো গায়ে মাখতে হবে"।  মানব জীবনের সার্থকতা সেখানেই, যেখানে আপনি আপনার নিজের অবস্থানে সফল।সফল হতে নিজের ইচ্ছাশক্তির চেয়ে বেশী কোন কিছুই প্রভাবক হিসেবে কাজ করে না।আপনি লক্ষ্য করলে দেখবেন এই মহামানব জীবনে কেউ মুহূর্তে সফল হতে পারে নি।বরংবার চেষ্ঠার ফলই ওই ব্যাক্তিকে একটা নির্দিষ্ট সফল ফ্রেমে বন্ধী করেছে।নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য নিয়ে এগিয়ে যান সফলতা অবধারিত।

সফলতা সম্পর্কে আর্ল নাইটিংগেল বলেছিলেন- "একটি যথার্থ উদ্দেশ্য
উত্তেরাত্তর উপলব্ধির নামই সফলতা"।
                          উৎসর্গীকরণে-
                                 "আনন্দ মোহন"




Sunday, August 14, 2016

পাঞ্জেরী

পাঞ্জেরী
-ফররুখ আহম্মদ 
রাত পোহাবার কত দেরি পাঞ্জেরি?
এখনো তোমার আসমান ভরা মেঘে?
সেতারা, হেলাল এখনো ওঠেনি জেগে?
তুমি মাস্তলে, আমি দাঁড় টানি ভুলে;
অসীম কুয়াশা জাগে শূন্যতা ঘেরি।
রাত পোহাবার কত দেরি পাঞ্জেরি?
দীঘল রাতের শ্রান্তসফর শেষে
কোন দরিয়ার কালো দিগন্তে আমরা পড়েছি এসে?
এ কী ঘন-সিয়া জিন্দেগানীর বা’ব
তোলে মর্সিয়া ব্যথিত দিলের তুফান-শ্রান্ত খা’ব
অস্ফুট হয়ে ক্রমে ডুবে যায় জীবনের জয়ভেরী।
তুমি মাস্তুলে, আমি দাঁড় টানি ভুলে;
সম্মুখে শুধু অসীম কুয়াশা হেরি।
রাত পোহাবার কত দেরি পাঞ্জেরি?
বন্দরে বসে যাত্রীরা দিন গোনে,
বুঝি মৌসুমী হাওয়ায় মোদের জাহাজের ধ্বনি শোনে,
বুঝি কুয়াশায়, জোছনা- মায়ায় জাহাজের পাল দেখে।
আহা, পেরেশান মুসাফির দল।
দরিয়া কিনারে জাগে তক্দিরে
নিরাশায় ছবি এঁকে!
পথহারা এই দরিয়া- সোঁতারা ঘুরে
চলেছি কোথায়? কোন সীমাহীন দূরে?
তুমি মাস্তুলে, আমি দাঁড় টানি ভুলে;
একাকী রাতের ম্লান জুলমাত হেরি!
রাত পোহাবার কত দেরি পাঞ্জেরি?
শুধু গাফলতে শুধু খেয়ালের ভুলে,
দরিয়া- অথই ভ্রান্তি- নিয়াছি ভুলে,
আমাদেরি ভুলে পানির কিনারে মুসাফির দল বসি দেখেছে সভয়ে অস্ত গিয়াছে তাদের সেতারা, শশী।
মোদের খেলায় ধুলায় লুটায়ে পড়ি।
কেটেছে তাদের দুর্ভাগ্যের বিস্বাদ শর্বরী।
সওদাগরের দল মাঝে মোরা ওঠায়েছি আহাজারি,
ঘরে ঘরে ওঠে ক্রন্দনধ্বনি আওয়াজ শুনছি তারি।
ওকি বাতাসের হাহাকার,- ও কি
রোনাজারি ক্ষুধিতের!
ও কি দরিয়ার গর্জন,- ও কি বেদনা মজলুমের!
ও কি ধাতুর পাঁজরায় বাজে মৃত্যুর জয়ভেরী।
পাঞ্জেরি!
জাগো বন্দরে কৈফিয়তের তীব্র ভ্রুকুটি হেরি,
জাগো অগণন ক্ষুধিত মুখের নীরব ভ্রুকুটি হেরি!
দেখ চেয়ে দেখ সূর্য ওঠার কত দেরি, কত দেরি!

Saturday, August 13, 2016

বৃষ্টি ও পাপবোধ ☺

বৃষ্টি ও পাপবোধ
         -হিমাদ্রি মোহন 
একটা বৃষ্টি বদলে দেবে সব 
তোলপাড় জাগবে
জাগবে সবাই --
অভিন্ন আকাশের নিচে
মৃত, অর্ধমৃত পাপবোধ 
ভেসে যাবে।

একটা বৃষ্টি চাই 
তোমার আমার অনাকাঙ্ক্ষিত মন্দ
ভাসিয়ে দেব বলে।


***আপনার রুচির সন্তুষ্টিই আমাদের সার্থকতা। পাশে থাকবেন।***

অকাল শ্রাবণ


"অকাল শ্রাবণ"

              -হিমাদ্রি মোহন 
মেঘলা আকাশ
অকাল শ্রাবণ 
অঝোর ধারায়
অবিরাম বর্ষণ!
জল থইথই মাঠ
মনের দরজা হাট।

নূপুরের রিনিঝিনি
তুমিই এলে জানি 
জানলেই বা কি হবে!
বৃষ্টি নেমেছে সবে

তপ্ত আদুর গায়ে
বৃষ্টি শীতল পায়ে
নেচে নেচে চলে যায় 
পুলকিত ইশারায়।

বৃষ্টির কাছে ঋণী
তুমি থাকবে সারাদিনই
আমার আউল বাউল মন
কেবল কাঁদে সর্বক্ষণ।

বিদ্যুৎ চমকায়
সম্বিৎ ফিরে পায়।
তুমি বৃষ্টি ধারায় থেকো 
আর আমায় মনে রেখো। 

মেঘ বৃষ্টির খেলা
আমার কাটে সারাবেলা
তুমি এসেই বলো যাই...... 
আমার ভাল্লাগেনা, ছাই!

আমার ছিলেকোঠার ছাদে
এ মন যে শুধুই কাঁদে
কান্না শেষে হাসি
তবে কি তোমায় ভালোবাসি!

Thursday, August 11, 2016

অবুঝ খোকা

                    অবুঝ খোকা
                                  -মোহন
      আমি কাঁদতে কাঁদতে হাসতে পারি,
      হাসতে হাসতে কাঁদি।
      আমি দু:খটাকে সঙ্গী করে,সুখের বসত বাঁধি
      আমি চিনতে চিনতে ইচ্ছে করেই,
      আবার করি ভুল।
      আমি বাতাসে উড়িয়ে চম্পা বকুল,
      আবার ফোটাই ফুল।
      শুধু তোমার কাছে গেলেই,
      অবুঝ খোকা হয়ে যাই।
     তোমার মাঝে দিও আমায় একটু খানি ঠাঁই
      আমি পুড়তে পুড়তে ইচ্ছে হলেই
      আবার শীতল হই।
      আমি সবার মাঝে আপন,
      আবার আপন কারো নই।
      আমি থাকতে পারি সন্নিকটে,আবার বহুদূর।
     আমি চেনা গানের ছন্দ ভূলে আবার করি সুর
     আমি বিষধর সাপের ফণা থেকে,
      আনতে পারি মণি।
      আমি দৈনিক কাগজের শিরোণাম এ,
      হতে পারি শিরোমণি।
      শুধু তোমার কাছে গেলেই,
      অবুঝ খোকা হয়ে যাই।
      তোমার মাঝে দিও আমায় একটুখানি ঠাঁই।
   

বিবর্তনবাদের ইতিহাস

বিবর্তনবাদের ইতিহাস: 
পৃথিবীর সৃষ্টি তপ্ত গলিত লাভা থেকে।এই আগুনের গলিত তপ্ত পিন্ড হাজার হাজার বছর পর ঠান্ডা হয়ে আজকের এই সুন্দর পৃথিবী।যেখানে দেখা মিলে নদী,পাহাড়,সমুদ্র,ঝ্রণা,রংধনুর সাত রঙে ভরা আকাশ সহ আরো কত কি ...... 

প্রাণের সঞ্চার:
পৃথিবী জন্ম হওয়ার প্রায় একশত কোটি বছর পর জলের মধ্যে তৈরী হল প্রোটোপ্লাজম।যা নানা ধরণের মৌলিক জিনিষ দিয়ে তৈরী হয়েছিল।আমার ভাষায়,”লাইফ ইজ নাথিং বাট দ্যা এক্টিভিটিস অফ প্রোটোপ্লাজম”। এই কোষ প্রথমত একটি মানে, এককোষী প্রাণের সৃষ্টি ওখান থেকেই।এরপর অনেক কোষগুলো একত্রিত হয়ে আস্তে আস্তে বৃহৎ দেহের সৃষ্টি করে।

এগুলোর আবার কিছু কোষ থেকে দুটি,দুটি থেকে চারটি এভাবে তারা নিজেদের বংশ বাড়াতে লাগল।এগুলো প্রতিনিয়ত এমন ভাবে বড় হচ্ছিল যেটা বোঝার উপায় নেই যে আসলে আপাত দৃষ্টি তে মনে হয় সৃষ্টির আদি থেকেই এরা এত বড় ছিল।

মাছরাই হল পৃথিবীর প্রথম মেরুদণ্ডী প্রানী।যাদের থেকে অনেক বছর ধরে বিবর্তনের মাধ্যমে আজকে আমরা বিভিন্ন মেরুদণ্ডী,অমেরুদণ্ডী সহ প্রাণী জগতের ৯ টি পর্বের প্রানীরা এসেছি।কিন্তু এই বিবর্তনের ও অনেক ধাপ রয়েছে।এরা যথাক্রমে উভচর, সরীসৃপ, স্তন্যপায়ী।

যাদের মধ্যে সরীসৃপ পর্বের ডাইনোসরগোষ্ঠী'ই পৃথিবীর বুকে সবচেয়ে অতিকায় জানোয়ার।দুঃস্বপ্নের মত এদের চেহারা।ডিপ্লোডোকাস প্রজাতির ডাইনোসর লম্বায় ৫৮ হাত।এরা অতিকায় হলেও বুদ্ধিটা নেহায়েত খাটো।আমার আর আপনার মতো না।কারণ,এদের মগজের গঠন।এদের মগজ অতিকায় দেহের তুলনায় অনেক ছোট।আমার আর আপনার মত নয়।জানেন তো মানুষের মগজ ওজনে দেড় কেজি পর্যন্ত হয়।এই মগজ ও কিন্তু বিবর্তনের মাধ্যমে উন্নত হয়েছে।কারণ, সৃষ্টির আদি প্রাণিটি একটি কোষ দিয়ে গঠিত।সেখানে তার মগজ তো নগণ্যই।সে থেকে আস্তে আস্তে মাছ,টিকটিকি,ডাইনোসর,গরিলা,বন মানুষ(আধা-মানুষহোমিনিড), মুরগী,ইদুর ইত্যাদি ইত্যাদি এসেছে মানে আস্তে আস্তে তাদের মগজের উন্নতি হচ্ছে।আকারে যেমন বড় হচ্ছে তেমনি বুদ্ধিতেও।

আস্তে আস্তে মানুষ তার প্রয়োজনের তাগিদে শিখল আগুন জ্বালানো, শিখল শিকার করা,শিখল দলবদ্ধ ভাবে বেঁচে থাকতে।তখন তাদের কোন শত্রু ছিল না,ছিল সবাই ভাই-ভাই।এরপর আস্তে আস্তে মানুষের মস্তিষ্কের উন্নতি হতে লাগলল।তারা শিখে যেতে লাগল কিভাবে উন্নত হাতিয়ার ব্যবহার করা যায়।অর্থাৎ,  বন্য থেকে সভ্য হতে লাগল।

এরপর আস্তে আস্তে তারা নিজেরা নিজেদের মধ্যে সবকিছু নিয়ে ভাগাভাগি খুঁজতে শুরু করল।তাদের মধ্যে এখন আর আগের সমান অধিকার নেই তারা  একে অন্যের থেকে উর্ধাসনে অধিষ্ঠিত হওয়ার উপায় খুঁজতে লাগল।যার কারণে শুরু হয় নানা রকম হাঙামা।তবে এগুলো একদিনে হয় নি, হাজার হাজার বছর অতিক্রম করে,বিভিন্ন সভ্যতা (মিশরীয় সভ্যতা,দ্রাবিড় সভ্যতা, বৈদিক সভ্যতা,গ্রীক সভ্যতা) পেরিয়ে মানুষ আজ বড় হওয়ার লড়াইয়ে মেতেছে।তারা চায় একে অপরের ক্রীতদাস হয়ে থাকুক।মুনাফার লড়াইয়ে তারা আজ হন্য।

যাইহোক মানুষ তার বুদ্ধি আর উন্নত মস্তিষ্কের দ্বারা, মানুষের অক্লান্ত পরিশ্রমে আজ গড়ে উঠেছে আধুনিক সভ্যতা।
                                                 তথ্য প্রদানে   -আনন্দ মোহন।      
         ইউনিভার্সিটি অফ সায়েন্স এন্ড টেকনোলোজি চিটাগাং।             
     

Wednesday, August 10, 2016

কেউ কথা রাখেনি

               কেউ কথা রাখে নি
                 সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় 
কেউ কথা রাখেনি, তেত্রিশ বছর কাটলো, কেউ কথা রাখেনি
ছেলেবেলায় এক বোষ্টুমী তার আগমনী গান হঠাৎ থামিয়ে বলেছিল
শুক্লা দ্বাদশীর দিন অন্তরাটুকু শুনিয়ে যাবে
তারপর কত চন্দ্রভূক অমাবস্যা চলে গেলো, কিন্তু সেই বোষ্টুমী
আর এলোনা
পঁচিশ বছর প্রতিক্ষায় আছি।
মামা বাড়ির মাঝি নাদের আলী বলেছিল, বড় হও দাদাঠাকুর
তোমাকে আমি তিন প্রহরের বিল দেখাতে নিয়ে যাবো
সেখানে পদ্মফুলের মাথায় সাপ আর ভ্রমর
খেলা করে!
নাদের আলী, আমি আর কত বড় হবো?  আমার মাথা এ ঘরের ছাদ
ফুঁড়ে আকাশ স্পর্শ করলে তারপর তুমি আমায়
তিন প্রহরের বিল দেখাবে?
একটাও রয়্যাল গুলি কিনতে পারিনি কখনো
লাঠি-লজেন্স দেখিয়ে দেখিয়ে চুষেছে লস্করবাড়ির ছেলেরা
ভিখারীর মতন চৌধুরীদের গেটে দাঁড়িয়ে দেখেছি
ভিতরে রাস-উৎসব
অবিরল রঙের ধারার মধ্যে সুবর্ণ কঙ্কণ পরা ফর্সা রমণীরা
কত রকম আমোদে হেসেছে
আমার দিকে তারা ফিরেও চায়নি!
বাবা আমার কাঁধ ছুঁয়ে বলেছিলেন, দেখিস, একদিন, আমরাও…
বাবা এখন অন্ধ, আমাদের দেখা হয়নি কিছুই
সেই রয়্যাল গুলি, সেই লাঠি-লজেন্স, সেই রাস-উৎসব
আমায় কেউ ফিরিয়ে দেবেনা!
বুকের মধ্যে সুগন্ধি রুমাল রেখে বরুণা বলেছিল,
যেদিন আমায় সত্যিকারের ভালবাসবে
সেদিন আমার বুকেও এ-রকম আতরের গন্ধ হবে!
ভালোবাসার জন্য আমি হাতের মুঠোয় প্রাণ নিয়েছি
দূরন্ত ষাঁড়ের চোখে বেঁধেছি লাল কাপড়
বিশ্বসংসার তন্ন তন্ন করে খুঁজে এনেছি ১০৮টা নীল পদ্ম
তবু কথা রাখেনি বরুণা, এখন তার বুকে শুধুই মাংসের গন্ধ
এখনো সে যে-কোনো নারী।
কেউ কথা রাখেনি, তেত্রিশ বছর কাটল, কেউ কথা রাখে না!