Showing posts with label ছোট তথ্য বড় ধারণা. Show all posts
Showing posts with label ছোট তথ্য বড় ধারণা. Show all posts

Friday, September 30, 2016

স্বপ্ন বনাম মৃত্যু পূর্বাভাষ

প্রচলিত
রয়েছে যে, স্বপ্নে অনেক সময়ে আভাসিত হয়
আসন্ন মৃত্যুর পূর্বাভাসও।

বাস্তবে এই জাতীয় ঘটনার নজির রয়েছে।
আব্রাহাম লিঙ্কন তার মৃত্যুর কয়েক দিন আগে
স্বপ্নে নিজেকে কফিনে শায়িত থাকতে
দেখেছিলেন।

জুলিয়াস সিজার বা
ক্যালিগুলাও তাদের আসন্ন মৃত্যুর প্রতীকী
আভাস পেয়েছিলেন তাদের স্বপ্নে।

অলৌকিকতা নিয়ে
যারা চর্চা করেন, তারা বলছেন, কোনও ব্যক্তির
আসন্ন মৃত্যুর পূর্বলক্ষণ যেমন তার দেহে বা মনে
ধরা পড়ে তেমনই ধরা পড়ে স্বপ্নেও।

আসুন, জেনে নেই কিভাবে স্বপ্নে নিহিত
বিশেষ কিছু প্রতীক আপনার মৃত্যুর পূর্বাভাস
জানিয়ে দেয়।

"কালো বিড়াল"

কালো জাদু বা ডাইনি বিদ্যার চর্চা করেন
যারা তাদের কাছে কালো বিড়াল বিশেষ
তাৎপর্যবাহী। তারা মনে করেন, স্বপ্নে কালো
বিড়াল
দেখার অর্থ কোনও ঘোরতর অমঙ্গল ঘটতে
চলেছে জীবনে। এমনকী মৃত্যুও সেই অমঙ্গলের
সীমানাভুক্ত হতে পারে।

"সাপ"

স্বপ্নে সাপ-দর্শন পৃথিবীর বহু সংস্কৃতিতেই
অশুভ লক্ষণ বলে মনে করা হয়। স্বপ্নে দৃষ্ট সাপ
আসন্ন মৃত্যুর প্রতীক, এমনটাই বিশ্বাস।

"দাঁত পড়ে যাওয়া"

অনেকের মতে স্বপ্নে দাঁত পড়ে যেতে দেখা,
কোনও নিকটজনের আসন্ন মৃত্যুর দ্যোতক।

"দাঁড়কাক"

দাঁড়কাক বা অন্য কোনও কালো পাখি যদি
স্বপ্নে আবির্ভূত হয়, তাহলে তা নিকটাগত মৃত্যুর
লক্ষণ বলে ধরতে হবে।

"ক্রন্দনরত শিশুর পরিচর্যা"

যদি স্বপ্নে কোনও ক্রন্দনরত শিশুর পরিচর্যা
করতে দেখা যায় নিজেকে, তাহলে তা নিজের
অথবা কোনও নিকটজনের মৃত্যুর পূর্বাভাস
বলে ধরতে হবে।

"কোনও ডুবন্ত ব্যক্তিকে বাঁচানো"

বলা হয়, স্বপ্নে কোনও ব্যক্তিকে নিশ্চিৎ মৃত্যুর
হাত থেকে বাঁচালে জলের অশুভ শক্তির ক্রোধ
গিয়ে পড়ে রক্ষাকারী ব্যক্তির উপর। ফলে
এবার তারা সেই ব্যক্তিকেই মৃত্যুর দিকে টেনে
নেয়।

"একা একা মদ্যপান"

কোনও ব্যক্তি যদি স্বপ্নে দেখে যে, সে কোনও
শ্মশান বা কবরস্থানে কিংবা কোনও
পাহাড়চূড়ায় একা বসে মদ্যপান করছে, তাহলে
আদপে তার মৃত্যু তার ঘাড়ের উপর নিঃশ্বাস
ফেলছে।

"নাচ-গানে উচ্ছল আনন্দোৎসব"

কেউ যদি স্বপ্নে নিজেকে নাচে-গানে উচ্ছল
কোনও উৎসবে অংশগ্রহণ করতে দেখে, তাহলে
শিগগিরই সেই ব্যক্তি খুন হবে বলে মনে
করা হয়।

-থ্যসূত্র :
বিভিন্ন স্বপ্ন    বিশারদ

Thursday, September 29, 2016

টাকা ও সময়

আচ্ছা আপনি কি জানেন,আজকাল সময়কে ও টাকা দিয়ে কেনা যায়?
ইয়েস,হয়ত জেনে থাকবেন।
তারপর ও আমি না হয় সময় কিনে নেওয়ার একটা ছোট্ট উদাহরণ দিই:
ধরুন, আপনি চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা যাবেন বাসে করে।কিন্তু বাসে করে ঢাকা যেতে তো মিনিমাম চার ঘন্টা লাগবেই লাগবে।এত সময় আপনি খোয়াতে পারবেন না মানে,আপনার কাছে তখন সময়ের যথেষ্ট মূল্য।তো তখন যদি আপনি, আকাশপথে মানে হেলিকপ্টার বা বিমান যোগে একেবারে স্বল্প সময়ে পৌঁছে যেতে পারেন ব্যপারটা যেমন রোমাঞ্চকর হবে তেমনি আপনার সময়ও একেবারেই সেভ হবে।
এখন দেখলেন তো, টাকার কাছে সময়ও হার মেনে নিল।টাকা দিয়ে সময় কিনে নিলেন।
★★★বিশেষ দ্রষ্টব্য : সবকিছু টাকা দিয়ে কেনা যায় না। এটা কিঞ্চিৎ রম্য উদাহরণ মাত্র।★★★



-Ananda Mohan
USTC;EEE
         

Thursday, August 11, 2016

বিবর্তনবাদের ইতিহাস

বিবর্তনবাদের ইতিহাস: 
পৃথিবীর সৃষ্টি তপ্ত গলিত লাভা থেকে।এই আগুনের গলিত তপ্ত পিন্ড হাজার হাজার বছর পর ঠান্ডা হয়ে আজকের এই সুন্দর পৃথিবী।যেখানে দেখা মিলে নদী,পাহাড়,সমুদ্র,ঝ্রণা,রংধনুর সাত রঙে ভরা আকাশ সহ আরো কত কি ...... 

প্রাণের সঞ্চার:
পৃথিবী জন্ম হওয়ার প্রায় একশত কোটি বছর পর জলের মধ্যে তৈরী হল প্রোটোপ্লাজম।যা নানা ধরণের মৌলিক জিনিষ দিয়ে তৈরী হয়েছিল।আমার ভাষায়,”লাইফ ইজ নাথিং বাট দ্যা এক্টিভিটিস অফ প্রোটোপ্লাজম”। এই কোষ প্রথমত একটি মানে, এককোষী প্রাণের সৃষ্টি ওখান থেকেই।এরপর অনেক কোষগুলো একত্রিত হয়ে আস্তে আস্তে বৃহৎ দেহের সৃষ্টি করে।

এগুলোর আবার কিছু কোষ থেকে দুটি,দুটি থেকে চারটি এভাবে তারা নিজেদের বংশ বাড়াতে লাগল।এগুলো প্রতিনিয়ত এমন ভাবে বড় হচ্ছিল যেটা বোঝার উপায় নেই যে আসলে আপাত দৃষ্টি তে মনে হয় সৃষ্টির আদি থেকেই এরা এত বড় ছিল।

মাছরাই হল পৃথিবীর প্রথম মেরুদণ্ডী প্রানী।যাদের থেকে অনেক বছর ধরে বিবর্তনের মাধ্যমে আজকে আমরা বিভিন্ন মেরুদণ্ডী,অমেরুদণ্ডী সহ প্রাণী জগতের ৯ টি পর্বের প্রানীরা এসেছি।কিন্তু এই বিবর্তনের ও অনেক ধাপ রয়েছে।এরা যথাক্রমে উভচর, সরীসৃপ, স্তন্যপায়ী।

যাদের মধ্যে সরীসৃপ পর্বের ডাইনোসরগোষ্ঠী'ই পৃথিবীর বুকে সবচেয়ে অতিকায় জানোয়ার।দুঃস্বপ্নের মত এদের চেহারা।ডিপ্লোডোকাস প্রজাতির ডাইনোসর লম্বায় ৫৮ হাত।এরা অতিকায় হলেও বুদ্ধিটা নেহায়েত খাটো।আমার আর আপনার মতো না।কারণ,এদের মগজের গঠন।এদের মগজ অতিকায় দেহের তুলনায় অনেক ছোট।আমার আর আপনার মত নয়।জানেন তো মানুষের মগজ ওজনে দেড় কেজি পর্যন্ত হয়।এই মগজ ও কিন্তু বিবর্তনের মাধ্যমে উন্নত হয়েছে।কারণ, সৃষ্টির আদি প্রাণিটি একটি কোষ দিয়ে গঠিত।সেখানে তার মগজ তো নগণ্যই।সে থেকে আস্তে আস্তে মাছ,টিকটিকি,ডাইনোসর,গরিলা,বন মানুষ(আধা-মানুষহোমিনিড), মুরগী,ইদুর ইত্যাদি ইত্যাদি এসেছে মানে আস্তে আস্তে তাদের মগজের উন্নতি হচ্ছে।আকারে যেমন বড় হচ্ছে তেমনি বুদ্ধিতেও।

আস্তে আস্তে মানুষ তার প্রয়োজনের তাগিদে শিখল আগুন জ্বালানো, শিখল শিকার করা,শিখল দলবদ্ধ ভাবে বেঁচে থাকতে।তখন তাদের কোন শত্রু ছিল না,ছিল সবাই ভাই-ভাই।এরপর আস্তে আস্তে মানুষের মস্তিষ্কের উন্নতি হতে লাগলল।তারা শিখে যেতে লাগল কিভাবে উন্নত হাতিয়ার ব্যবহার করা যায়।অর্থাৎ,  বন্য থেকে সভ্য হতে লাগল।

এরপর আস্তে আস্তে তারা নিজেরা নিজেদের মধ্যে সবকিছু নিয়ে ভাগাভাগি খুঁজতে শুরু করল।তাদের মধ্যে এখন আর আগের সমান অধিকার নেই তারা  একে অন্যের থেকে উর্ধাসনে অধিষ্ঠিত হওয়ার উপায় খুঁজতে লাগল।যার কারণে শুরু হয় নানা রকম হাঙামা।তবে এগুলো একদিনে হয় নি, হাজার হাজার বছর অতিক্রম করে,বিভিন্ন সভ্যতা (মিশরীয় সভ্যতা,দ্রাবিড় সভ্যতা, বৈদিক সভ্যতা,গ্রীক সভ্যতা) পেরিয়ে মানুষ আজ বড় হওয়ার লড়াইয়ে মেতেছে।তারা চায় একে অপরের ক্রীতদাস হয়ে থাকুক।মুনাফার লড়াইয়ে তারা আজ হন্য।

যাইহোক মানুষ তার বুদ্ধি আর উন্নত মস্তিষ্কের দ্বারা, মানুষের অক্লান্ত পরিশ্রমে আজ গড়ে উঠেছে আধুনিক সভ্যতা।
                                                 তথ্য প্রদানে   -আনন্দ মোহন।      
         ইউনিভার্সিটি অফ সায়েন্স এন্ড টেকনোলোজি চিটাগাং।