Tuesday, February 12, 2019
একেলা বসন্ত
আনন্দ মোহন
গড়িয়ে গেলো কতো বসন্ত
রক্তিম কুঞ্জে হেঁটে চলি তোমার প্রতীক্ষায়
বনজুঁই এর ঘ্রাণ ছিটিয়ে মনে
চেয়ে আছি আজো তোমার পথপানে।
মনমাঝারে দখিনা বাতাসে
উদাসী বিকেলে অজানা শিহরণে
নেশা নেশা ভালোবাসায়
তোমাকে আজো খুঁজে বেড়াই।।
>>পহেলা ফাল্গুন বিলাপ<<
Thursday, October 19, 2017
"তুমি চাইলে "
আকাশ হয়ে যাবো।
রংধনুর সাত রং হয়ে
আকাশপটে চেয়ে যাবো।
ভরদুপুরের কোন ক্লান্ত পথিক হবো।
ক্লান্তিময় দেহ এলিয়ে দিতে
সবুজ গালিচা হবো।।
হবো কোন গোধুলি বেলার নীড়ে ফেরা পাখি।
হবো কোন বর্ষণমুখর সন্ধ্যার
বিজলী বাতি।
হবো চন্দ্রের মিটিমিটি আলো।
হবো ঊষাকালের
সূর্যের সোনালি আলো।।
💙💙💙💙💙💙 |
Wednesday, June 7, 2017
"চন্দ্র রজনী"
চন্দ্র রজনী
→মোহন
বিশাল আকাশের বুকে,
এক ফালি চাঁদ রয়েছে জুড়ে।
একদা চন্দ্রাহত এই আমি,
আজ শুধুই উপভোগ করি।
ও আকাশ, তুমি কি পারবে
আমায় সান্তনা দিতে?
ও বাতাস, তুমি কি পারবে
এই আমায় শান্ত করতে?
ও চাঁদ, তুমি কি পারবে
এই আমার কলঙ্ক নিজের করে নিতে?
ধন্য তোমরা এই পৃথিবীর বুকে,
ধন্য আজ আমি তোমাদের সাথে পেয়ে,
থেকো তোমরা সব সময় আমার বন্ধু হয়ে।
||২৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৪ বঙ্গাব্দ||
Sunday, June 4, 2017
Tuesday, May 30, 2017
"বৃষ্টির দিনে"
বৃষ্টির দিনে
-মোহন
বর্ষার দিনে বৃষ্টিতে,
আজ তোমায় মনে পড়ে।
ঝুম বৃষ্টির শব্দে মনে পড়ে তোমায়,
বাদল ধারায় কার ইশারায়;
মোর প্রাণে আজি দোলা লাগে।।
বৃষ্টি শেষে,জানালায় বসে
নিজেকে আজ একলা লাগে।
তোমা বিনে,একলা বসে
গগন পানে চেয়ে
আজ নিজেকে একলা লাগে।।
||১৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৪ বঙ্গাব্দ||
"ক্ষণিকের দেখা"
ক্ষণিকের দেখা
-মোহন
তারে দেখেছি এক বর্ষা বাদল দিনে,
সে হাঁটছিল একা আনমনে।
কী মায়াবী মুখ
হাওয়ায় উড়ছিল তার চুল
মমতা তার নয়ন জুড়ে
ছন্দ ছিল তার ধীরস্থির চলনে
কামিনীর সুবাসে বিরাজিছে আনন্দ।
প্রকৃতি মগ্ন তার নিজের আয়োজনে,
তার আগমন সময়ের প্রয়োজনে;
চারিদিকে ফুটছে কদমফুল,
বিচিত্রতায় পক্ষীরা আজ আকুল।
যেন ধন্য হল ধরা আজ তাকে ভালোবেসে,
মেঘের গর্জনে সে ছুটে চলল ঝড়ের বেগে।
||১৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৪ বঙ্গাব্দ||
উদাস দুপুর
"উদাস দুপুর"
-মোহন
গ্রীষ্মের এই দুপুরবেলায়
থাকতে চায় না মন বন্ধীরতায়
খুঁজে ফিরি উচ্ছলতা
ছোটবেলার সেই দুপুরবেলা।
মন পড়ে থাকে খেলার মাঠে
ফিরে খুঁজি স্মৃতি ইটের ফাঁকে।
ছোট্টবেলার সেই আনন্দবেলা
হারিয়ে আজ আমি দিশেহারা।
স্মৃতিরা সব চোখের কোণে
জমায় অশ্রু ক্ষণে ক্ষণে।
ভাবুক মন আজ চায় ফিরে যেতে
ছোটবেলার স্মৃতির কাছে।
||১৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৪ বঙ্গাব্দ||
"মেঘলা দিন"
মেঘলা দিন
-মোহন
এই মেঘলা দুপুরে
এই মন চায় আনমনে
হারিয়ে যেতে কারো মুগ্ধতায়
ভালোবাসার অবলীলায়।
কদমের ওই পাঁপড়ীগুলোর
সজীবতার সুন্দরতায়,
স্নিগ্ধতার স্পর্শে
মলিন মন রাঙাতে।
তুমি কি আসবে আমার পথে,
হারিয়ে যাব দিগন্তের শেষে।
চলনা আজ রাঙাবো তোমায়,
আমার মনের সাজানো চিলেকোঠায়।
||১৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৪ বঙ্গাব্দ||
Tuesday, February 21, 2017
একুশ মানে
"একুশ মানে"
______আনন্দ মোহন
একুশ মানে
রক্ত লাল
একুশ মানে আশা,
একুশ মানে
রফিক-বরকত
আর আমার মায়ের প্রাণের ভাষা।
একুশ মানে
শহীদ সালাম ভাইয়ের
গর্জে ওঠা শ্লোগান,
একুশ মানে
স্মৃতি নিয়ে
খুঁজে পাওয়া প্রাণ।
একুশ মানে
এগিয়ে যাওয়া
ভাষা শহীদদের টানে,
একুশ মানে মাতৃভাষা
টিকিয়ে রাখব প্রাণে।
একুশ মানে
আমার মায়ের
হারিয়ে যাওয়া বুলি,
একুশ মানে
ছোট্ট শিশুর
আদৌ আদৌ বুলি।
একুশ মানে
জীবন দিয়ে রাখব বাজি
মাতৃভাষার সন্মান,
একুশ মানে
দেশের গৌরব
হতে দেব না ম্লান।
Saturday, December 10, 2016
বর্ণিল স্বপ্ন
"বর্ণিল স্বপ্ন"
-আনন্দ মোহন
প্রিয়তম বলতে চেয়েছি অনেকবার
কিন্তু দেখ লাজুকলতা টা,
তার আচরণ বড়ই অদ্ভুত
নুয়ে থাকা যে তার অভ্যাস
আমার ও ইচ্ছে হয়,
ছুঁয়ে দেখি তোমায়
হাতে হাত রেখে ছুটির দিনগুলো কাটাবো,
তোমার সাথে।
তোমার কাছে যাবো,তোমার পিঠে পিঠ
ঠেকাবো
নাকে আঙুলের আলতো স্পর্শ দিব
সেটা আর হয়ে উঠে না,
লাজুকতা যে ঢেকে রেখেছে ইচ্ছেপনা
তবুও আমি আশা রাখি,
পুনঃস্মরিব তোমায়।
একদিন বলব তোমায়, দেখ আমিও পেরেছি
ইচ্ছে শক্তিকে আমি বাহুবন্ধ করেছি,
তোমাকে বর্ণিলতার অন্তরালে
কাছে এনেছি।
Monday, September 26, 2016
পবিত্র পাপ
-আনন্দ মোহন
অনুমতি পেয়ে আমি
পরক্ষণে স্পর্শ করিলাম তোমার হাত।
ইচ্ছে করেছিল বাহুডোরে বাঁধি তোমারে
সেটার ও অনুমতি পেয়ে আমি
আরো গভীরে যাই তোমার।
আস্তে আস্তে আষ্টেপৃষ্ঠে,
গাড় করি তোমার শ্বাসপ্রশ্বাস।
হন্য হয়ে আমি মিটিয়ে নিই আমার
ক্ষুদার্ততার মিষ্ট স্বাধ,
এভাবে চলে তোমার আমার দিনকাল।
"তুমিময় জীবন "
আনন্দ মোহন
যেদিন দেখেছি তোমায়
ভেবেছিলাম তুমি বুঝি রুপেরি রাণী
তোমার লাস্যময়ী হাসি
ছুঁয়েছিল আমার হৃদয় বরংবার
তোমার খোলা চুল
আমায় অবাধ্য করেছিল বারবার
চাইতাম শুধু সেগুলো ছুঁয়ে দেখিব একবার।
এভাবে কেটে যায় কত সহস্র প্রহর,
একদিন রাত্রিতে দেখি
আমার রাজ্যে তুমি সেই রাত্রিচরী
হয়ে এসেছ আমার জীবন ভরে দিতে।
বুঝিলাম সে-রাত্রিতে আমি,
তুমিই আমার সেই স্বপ্নচারিণী।
এসেছ রংধনুর সাতরং হয়ে,
আজীবন রংধনুর পূর্ণতা দান করিতে।
Saturday, September 24, 2016
মনের সাথে দেহ দিলে
-মোহন
মনের সাথে দেহ দিলে
থাকল কি আর বাকি
উজাড় হয়ে শুন্যপানে
কাঁদছো কারে ডাকি?
দেনা পাওনার হিসাব নিকাস
করলে না তো আগে
বেলা শেষে শুন্য হয়ে
মরছো মিছাই রাগে।
আবেগ থেকে জীবনটাকে
বিলিয়ে দেয়ার পর
লাভ হবে না পরবর্তীতে
কাঁদলে জীবন ভর।
কাঁদতে কাঁদতে জীবন যাবে
পাবে না আর কিছু
হিসাব ছাড়া জীবন যাদের
দুখ ছাড়ে না পিছু।
Sunday, August 21, 2016
নদী
রুধির ধারার মতন
মানো নাকো কোন বাধা,সামনে যাহা পাও তাহা নিয়ে ছুটিয়া যাও আপন মনে।
তোমারি গর্ভে বিলীন হয়েছে যে কত জনপদ।
তার কোন ইয়ত্তা নেই
তবুও তুমি থামো না,বহিয়া যাও অনন্তকাল।
নদী, তোমারি ধ্বংস যজ্ঞের শিকার অগণিত সৃষ্টি
তবুও তুমি ছুটিয়া যাও আপন মনে।
কত মনুষ্যের কান্না তুমি দেখিয়াছ নীরবে নিভৃতে
তবুও তুমি থামো না,থামো না।
Sunday, August 14, 2016
পাঞ্জেরী
-ফররুখ আহম্মদ
রাত পোহাবার কত দেরি পাঞ্জেরি?
এখনো তোমার আসমান ভরা মেঘে?
সেতারা, হেলাল এখনো ওঠেনি জেগে?
তুমি মাস্তলে, আমি দাঁড় টানি ভুলে;
অসীম কুয়াশা জাগে শূন্যতা ঘেরি।
রাত পোহাবার কত দেরি পাঞ্জেরি?
দীঘল রাতের শ্রান্তসফর শেষে
কোন দরিয়ার কালো দিগন্তে আমরা পড়েছি এসে?
এ কী ঘন-সিয়া জিন্দেগানীর বা’ব
তোলে মর্সিয়া ব্যথিত দিলের তুফান-শ্রান্ত খা’ব
অস্ফুট হয়ে ক্রমে ডুবে যায় জীবনের জয়ভেরী।
তুমি মাস্তুলে, আমি দাঁড় টানি ভুলে;
সম্মুখে শুধু অসীম কুয়াশা হেরি।
রাত পোহাবার কত দেরি পাঞ্জেরি?
বন্দরে বসে যাত্রীরা দিন গোনে,
বুঝি মৌসুমী হাওয়ায় মোদের জাহাজের ধ্বনি শোনে,
বুঝি কুয়াশায়, জোছনা- মায়ায় জাহাজের পাল দেখে।
আহা, পেরেশান মুসাফির দল।
দরিয়া কিনারে জাগে তক্দিরে
নিরাশায় ছবি এঁকে!
পথহারা এই দরিয়া- সোঁতারা ঘুরে
চলেছি কোথায়? কোন সীমাহীন দূরে?
তুমি মাস্তুলে, আমি দাঁড় টানি ভুলে;
একাকী রাতের ম্লান জুলমাত হেরি!
রাত পোহাবার কত দেরি পাঞ্জেরি?
শুধু গাফলতে শুধু খেয়ালের ভুলে,
দরিয়া- অথই ভ্রান্তি- নিয়াছি ভুলে,
আমাদেরি ভুলে পানির কিনারে মুসাফির দল বসি দেখেছে সভয়ে অস্ত গিয়াছে তাদের সেতারা, শশী।
মোদের খেলায় ধুলায় লুটায়ে পড়ি।
কেটেছে তাদের দুর্ভাগ্যের বিস্বাদ শর্বরী।
সওদাগরের দল মাঝে মোরা ওঠায়েছি আহাজারি,
ঘরে ঘরে ওঠে ক্রন্দনধ্বনি আওয়াজ শুনছি তারি।
ওকি বাতাসের হাহাকার,- ও কি
রোনাজারি ক্ষুধিতের!
ও কি দরিয়ার গর্জন,- ও কি বেদনা মজলুমের!
ও কি ধাতুর পাঁজরায় বাজে মৃত্যুর জয়ভেরী।
পাঞ্জেরি!
জাগো বন্দরে কৈফিয়তের তীব্র ভ্রুকুটি হেরি,
জাগো অগণন ক্ষুধিত মুখের নীরব ভ্রুকুটি হেরি!
দেখ চেয়ে দেখ সূর্য ওঠার কত দেরি, কত দেরি!
Saturday, August 13, 2016
বৃষ্টি ও পাপবোধ ☺
-হিমাদ্রি মোহন
একটা বৃষ্টি বদলে দেবে সব
তোলপাড় জাগবে
জাগবে সবাই --
অভিন্ন আকাশের নিচে
মৃত, অর্ধমৃত পাপবোধ
ভেসে যাবে।
একটা বৃষ্টি চাই
তোমার আমার অনাকাঙ্ক্ষিত মন্দ
ভাসিয়ে দেব বলে।
***আপনার রুচির সন্তুষ্টিই আমাদের সার্থকতা। পাশে থাকবেন।***
অকাল শ্রাবণ
"অকাল শ্রাবণ"
-হিমাদ্রি মোহন
মেঘলা আকাশ
অকাল শ্রাবণ
অঝোর ধারায়
অবিরাম বর্ষণ!
জল থইথই মাঠ
মনের দরজা হাট।
নূপুরের রিনিঝিনি
তুমিই এলে জানি
জানলেই বা কি হবে!
বৃষ্টি নেমেছে সবে
তপ্ত আদুর গায়ে
বৃষ্টি শীতল পায়ে
নেচে নেচে চলে যায়
পুলকিত ইশারায়।
বৃষ্টির কাছে ঋণী
তুমি থাকবে সারাদিনই
আমার আউল বাউল মন
কেবল কাঁদে সর্বক্ষণ।
বিদ্যুৎ চমকায়
সম্বিৎ ফিরে পায়।
তুমি বৃষ্টি ধারায় থেকো
আর আমায় মনে রেখো।
মেঘ বৃষ্টির খেলা
আমার কাটে সারাবেলা
তুমি এসেই বলো যাই......
আমার ভাল্লাগেনা, ছাই!
আমার ছিলেকোঠার ছাদে
এ মন যে শুধুই কাঁদে
কান্না শেষে হাসি
তবে কি তোমায় ভালোবাসি!
Thursday, August 11, 2016
অবুঝ খোকা
-মোহন
আমি কাঁদতে কাঁদতে হাসতে পারি,
হাসতে হাসতে কাঁদি।
আমি দু:খটাকে সঙ্গী করে,সুখের বসত বাঁধি
আমি চিনতে চিনতে ইচ্ছে করেই,
আবার করি ভুল।
আমি বাতাসে উড়িয়ে চম্পা বকুল,
আবার ফোটাই ফুল।
শুধু তোমার কাছে গেলেই,
অবুঝ খোকা হয়ে যাই।
তোমার মাঝে দিও আমায় একটু খানি ঠাঁই
আমি পুড়তে পুড়তে ইচ্ছে হলেই
আবার শীতল হই।
আমি সবার মাঝে আপন,
আবার আপন কারো নই।
আমি থাকতে পারি সন্নিকটে,আবার বহুদূর।
আমি চেনা গানের ছন্দ ভূলে আবার করি সুর
আমি বিষধর সাপের ফণা থেকে,
আনতে পারি মণি।
আমি দৈনিক কাগজের শিরোণাম এ,
হতে পারি শিরোমণি।
শুধু তোমার কাছে গেলেই,
অবুঝ খোকা হয়ে যাই।
তোমার মাঝে দিও আমায় একটুখানি ঠাঁই।
Wednesday, August 10, 2016
কেউ কথা রাখেনি
সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
শুক্লা দ্বাদশীর দিন অন্তরাটুকু শুনিয়ে যাবে
তারপর কত চন্দ্রভূক অমাবস্যা চলে গেলো, কিন্তু সেই বোষ্টুমী
আর এলোনা
পঁচিশ বছর প্রতিক্ষায় আছি।
মামা বাড়ির মাঝি নাদের আলী বলেছিল, বড় হও দাদাঠাকুর
তোমাকে আমি তিন প্রহরের বিল দেখাতে নিয়ে যাবো
সেখানে পদ্মফুলের মাথায় সাপ আর ভ্রমর
খেলা করে!
নাদের আলী, আমি আর কত বড় হবো? আমার মাথা এ ঘরের ছাদ
ফুঁড়ে আকাশ স্পর্শ করলে তারপর তুমি আমায়
তিন প্রহরের বিল দেখাবে?
একটাও রয়্যাল গুলি কিনতে পারিনি কখনো
লাঠি-লজেন্স দেখিয়ে দেখিয়ে চুষেছে লস্করবাড়ির ছেলেরা
ভিখারীর মতন চৌধুরীদের গেটে দাঁড়িয়ে দেখেছি
ভিতরে রাস-উৎসব
অবিরল রঙের ধারার মধ্যে সুবর্ণ কঙ্কণ পরা ফর্সা রমণীরা
কত রকম আমোদে হেসেছে
আমার দিকে তারা ফিরেও চায়নি!
বাবা আমার কাঁধ ছুঁয়ে বলেছিলেন, দেখিস, একদিন, আমরাও…
বাবা এখন অন্ধ, আমাদের দেখা হয়নি কিছুই
সেই রয়্যাল গুলি, সেই লাঠি-লজেন্স, সেই রাস-উৎসব
আমায় কেউ ফিরিয়ে দেবেনা!
বুকের মধ্যে সুগন্ধি রুমাল রেখে বরুণা বলেছিল,
যেদিন আমায় সত্যিকারের ভালবাসবে
সেদিন আমার বুকেও এ-রকম আতরের গন্ধ হবে!
ভালোবাসার জন্য আমি হাতের মুঠোয় প্রাণ নিয়েছি
দূরন্ত ষাঁড়ের চোখে বেঁধেছি লাল কাপড়
বিশ্বসংসার তন্ন তন্ন করে খুঁজে এনেছি ১০৮টা নীল পদ্ম
তবু কথা রাখেনি বরুণা, এখন তার বুকে শুধুই মাংসের গন্ধ
এখনো সে যে-কোনো নারী।
কেউ কথা রাখেনি, তেত্রিশ বছর কাটল, কেউ কথা রাখে না!