Thursday, October 19, 2017

"তুমি চাইলে "

"তুমি চাইলে"
---মোহন
তুমি চাইলে আমি,
আকাশ হয়ে যাবো।
রংধনুর সাত রং হয়ে
আকাশপটে চেয়ে যাবো।

তুমি চাইলে আমি,
ভরদুপুরের কোন ক্লান্ত পথিক হবো।
ক্লান্তিময় দেহ এলিয়ে দিতে
সবুজ গালিচা হবো।।


তুমি চাইলে আমি,
হবো কোন গোধুলি বেলার নীড়ে ফেরা পাখি।
হবো কোন বর্ষণমুখর সন্ধ্যার
বিজলী বাতি।

তুমি চাইলে আমি,
হবো চন্দ্রের মিটিমিটি আলো।
হবো ঊষাকালের
সূর্যের সোনালি আলো।।


||২রা কার্তিক  ১৪২৪||


💙💙💙💙💙💙








Wednesday, June 7, 2017

"চন্দ্র রজনী"

ন্দ্র রজনী
মোহন

বিশাল আকাশের বুকে,
এক ফালি চাঁদ রয়েছে জুড়ে।
একদা চন্দ্রাহত এই আমি,
আজ শুধুই উপভোগ করি।

ও আকাশ, তুমি কি পারবে
আমায় সান্তনা দিতে?
ও বাতাস, তুমি কি পারবে
এই আমায় শান্ত করতে?
ও চাঁদ, তুমি কি পারবে
এই আমার কলঙ্ক নিজের করে নিতে?

ধন্য তোমরা এই পৃথিবীর বুকে,
ধন্য আজ আমি তোমাদের সাথে পেয়ে,
থেকো তোমরা সব সময় আমার বন্ধু হয়ে।



||২৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৪ বঙ্গাব্দ||

Sunday, June 4, 2017

"গোধূলি "

গোধূলি
মোহন

এখানে গোধূলি নামে
পশ্চিমের আকাশে,
পাখিরা নীড়ে ফিরে
কলরব শব্দকরে।

রাখাল ছেলে বাড়ি ফিরে
বেণু বাজিয়ে, ধেনু নিয়ে
জীবনের টানে আজ
চলছে হাটুরে
হিসেবের খাতা নিয়ে।
এখানে রাত্রি নামায়
চাঁদ মামা হেসে।

Tuesday, May 30, 2017

"বৃষ্টির দিনে"

বৃষ্টির দিনে
-মোহন

বর্ষার দিনে বৃষ্টিতে,
আজ তোমায় মনে পড়ে
ঝুম বৃষ্টির শব্দে মনে পড়ে তোমায়,
বাদল ধারায় কার ইশারা;
মোর প্রাণে আজি দোলা লাগে।।

বৃষ্টি শেষে,জানালায় বসে
নিজেকে আজ একলা লাগে।
তোমা বিনে,একলা বসে
গগন পানে চেয়ে
আজ নিজেকে একলা লাগে।।




||১৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৪ বঙ্গাব্দ||

"ক্ষণিকের দেখা"

ক্ষণিকের দেখা
-মোহন

তারে দেখেছি এক বর্ষা বাদল দিনে,
সে হাঁটছিল একা আনমনে।
কী মায়াবী মুখ
হাওয়ায় উড়ছিল তার চুল
মমতা তার নয়ন জুড়ে
ছন্দ ছিল তার ধীরস্থির চলনে
কামিনীর সুবাসে বিরাজিছে আনন্দ।

প্রকৃতি মগ্ন তার নিজের আয়োজনে,
তার আগমন সময়ের প্রয়োজনে;
চারিদিকে ফুটছে কদমফুল,
বিচিত্রতায় পক্ষীরা আজ আকুল।
যেন ধন্য হল ধরা আজ তাকে ভালোবেসে,
মেঘের গর্জনে সে ছুটে চলল ঝড়ের বেগে।




||১৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৪ বঙ্গাব্দ||

উদাস দুপুর

"উদাস দুপুর"
-মোহন

গ্রীষ্মের এই দুপুরবেলায়
থাকতে চায় না মন বন্ধীরতায়
খুঁজে ফিরি উচ্ছলতা
ছোটবেলার সেই দুপুরবেলা।

মন পড়ে থাকে খেলার মাঠে
ফিরে খুঁজি স্মৃতি ইটের ফাঁকে
ছোট্টবেলার সেই আনন্দবেলা
হারিয়ে আজ আমি দিশেহারা।

স্মৃতিরা সব চোখের কোণে
জমায় অশ্রু ক্ষণে ক্ষণে।
ভাবুক মন আজ চায় ফিরে যেতে
ছোটবেলার স্মৃতির কাছে।


||১৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৪ বঙ্গাব্দ||


"মেঘলা দিন"

মেঘলা দিন
-মোহ

         এই মেঘলা দুপুরে
এই মন চায় আনমনে
       হারিয়ে যেতে কারো মুগ্ধতায়
ভালোবাসার অবলীলায়।

কদমের ওই পাঁপড়ীগুলোর
         সজীবতার সুন্দরতায়,
স্নিগ্ধতার স্পর্শে
          মলিন মন রাঙাতে।

তুমি কি আসবে আমার পথে,
         হারিয়ে যাব দিগন্তের শেষে।
চলনা আজ রাঙাবো তোমায়,
         আমার মনের সাজানো চিলেকোঠায়।


||১৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৪ বঙ্গাব্দ||


Tuesday, February 21, 2017

একুশ মানে

"একুশ মানে"
______আনন্দ মোহন

একুশ মানে
রক্ত লাল
একুশ মানে আশা,
একুশ মানে
রফিক-বরকত
আর আমার মায়ের প্রাণের ভাষা।

একুশ মানে
শহীদ সালাম ভাইয়ের
গর্জে ওঠা শ্লোগান,
একুশ মানে
স্মৃতি নিয়ে
খুঁজে পাওয়া প্রাণ।

একুশ মানে
এগিয়ে যাওয়া
ভাষা শহীদদের টানে,
একুশ মানে মাতৃভাষা
টিকিয়ে রাখব প্রাণে।

একুশ মানে
আমার মায়ের
হারিয়ে যাওয়া বুলি,
একুশ মানে
ছোট্ট শিশুর
আদৌ আদৌ বুলি।

একুশ মানে
জীবন দিয়ে রাখব বাজি
মাতৃভাষার সন্মান,
একুশ মানে
দেশের গৌরব
হতে দেব না ম্লান।

Sunday, February 5, 2017

একটি কৌতুহলময় স্মৃতিপট

২০০৩ সাল।তখন আমি ক্লাস থ্রি তে পড়ি,এরোপ্লেন সম্পর্কে বইয়ে অনেক পড়েছি এমনকি ওটার যন্ত্রাংশের নাম সমূহসহ।কিন্তু তখন পর্যন্ত বাস্তবে এরোপ্লেন দেখা শুধুমাত্র আকাশ পর্যন্ত সীমাবদ্ধ ছিল।ভূমিবিষ্ট এরোপ্লেন দেখার সৌভাগ্য হয়নি।

সেবার ছিল জানুয়ারির প্রথম দিক,আমার বড় কাকু আমেরিকা(ইউএসএ) ফেরত হবে।বাবা কথা দিয়েছিল যদি আমি ক্লাসে ফার্স্ট হতে পারি তবে আমার বাবার সাথে কাকুকে রিসিভ করার জন্য বিমান বন্দরে যাওয়ার সুযোগ হবে।এইদিকে আমার রেজাল্ট পাব্লিশ হল, ফার্স্ট হতে না পারলেও সেকেন্ড হয়েছিলাম।যাইহোক বাবা নিজের কথা রাখলেন মানে, প্রথম বারের মত আমি এয়ারপোর্ট এ যাচ্ছি।আমি তো মহাখুশি এতদিন শুধুই বিমানকে আকাশপথে দেখে অবাক হতাম এখন একেবারে বন্দরে বিমান এর ল্যান্ডিং সরাসরি দেখতে পাব।সবকিছু মিলিয়ে আমার কৌতূহল আর উদ্দীপনা একেবারেই তুঙ্গে।এইদিকে বছরের প্রথম দিক হওয়ায় লেখাপড়ার কোন রকম চাপ ছিল না পুরোপুরিভাবে বলা যায় খোশ মেজাজে।

সব কিছু মিলিয়ে আমাকে আর পায় কে অবস্থা।
অবশেষে আজ ১৭ই জানুয়ারি ২০০৩ মানে আমার জন্য সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। সকাল ৯ টার ভিতর ই আমরা শাহ্ আমানত আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে উপস্থিত হয়ে গেলাম।বন্দরে এসে আমার কৌতুহল এর কমতি ছিল না,আমি চারদিক ঘুরে ঘুরে অনেক কিছুই দেখেছি।রাডার,কিছু অপেক্ষমাণ হেলিকাপ্টার, ছোট বিমান, সব কিছু মিলিয়ে আমার জন্য ছিল সেটা অপূর্ব মূহুর্ত। টিকিট কেটে আমরা সবাই একেবারে ল্যান্ডিং ফিল্ড এ উপস্থিত হয়ে গেছি।(তখন টিকিট কেটে ওখান পর্যন্ত যাওয়া বৈধ ছিল)
৯:৩০ কি তার একটু পরেই আমি প্রচণ্ড শব্দ শুনে অবাক হলাম আর ভাবতে লাগলাম ভাগ্যিস এইগুলো আমাদের থেকে অনেক অনেক উঁচুতে উড়ে তা না হলে দুর্বিষহ অবস্থা হত।এসব ভাবতে ভাবতে বিমান রানওয়েতে চলে আসল,ওই মূহুর্তে তখনও আমি বিশ্বাস করতে পারছিলাম না যে আমি আসলেই বিজ্ঞানের অনেক কাছেই,প্রযুক্তি আমার চোখের সামনেই।

সবশেষে আরো কিছু মনে রাখার মূহুর্ত ব্যায় করার পর আমরা নিজ গন্তব্যে ফিরে আসি।ভাবতেই অবাক লাগে যেটা ছোট বেলার কৌতুহল ছিল এখন আমি, আমরা সেটা নিয়েই বিশ্লেষণ করে যাই প্রতিনিয়ত।

***ছোট বেলার কৌতুহলী জীবনথেকে সব কিছু নেওয়ার চেষ্টা করলেও সব উঠিয়ে আনা সম্ভব হয় নি।মেধা বিকশিত হয় আবার লোপ ও পায়।***

একটা স্বপ্ন দেখব বলে স্পন্সর খুঁজি রোজ....

স্বপ্ন আর বাস্তবতা আপাতপক্ষেই সম্ভব, বাস্তবিকতায় খুব একটা মিল নেই।
তবুও আমাকে /আপনাকে স্বপ্ন দেখতে নিষেধ করে কে?কেউ না!

সবাই স্বপ্ন দেখে আমিও দেখি কিন্তু স্বপ্নগুলো কেমন যেন গোলমেলে। মানে ঠিক কি নিয়ে স্বপ্ন দেখা হচ্ছে সেটাই বুঝি না,দেখার মাঝখানেই ঠং!
টপিক নির্ধারণ এর আগেই টপিক পাল্টানোর কথা এসে যায়।আহা! রঙিনত্ব আনা দরকার। কিন্তু সেই রঙিনত্ব আনার আগে আমাকে
যদি কেউ সাহায্য করতে পারত তবে তাকে বোধহয় মাথায় তুলে রাখতাম।

না ঠিক তা নাহ্! তবে কি? রঙিন স্বপ্ন ছাড়া কি জীবনে ঘুমের ঘোরে আর কিছু দেখার নেই?আছে, হ্যাঁ অবশ্যই।তবে সেটা ঘুমের ঘোরে হোক আর দিবা স্বপ্নই হোক অথবা বাস্তবতায়।
চলুন না আজ থেকেই স্বপ্ন দেখা শুরু করি ;না রঙিন দেখতে হবে না।জীবনকে উচ্ছাসিত করার স্বপ্ন, এগিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন,লক্ষ্য পূরণের স্বপ্ন।
তবে জয় হোক আরেকবার স্বপ্নের।
"জয়তুঃ স্বপ্ন"
"জয়তুঃ মানবজীবন"

পৃথিবীর নিচে আসলে কি আছে..?


পৃথিবীর নিচে আসলে কি আছে..?
অনেকে বলে পানি আছে, কেউ কেউ বলে আগুন আছে, আর সবাই বলে মাটি আছে..
আমি সবার সাথেই একমত, কিন্তু এগুলো থাকে কিভাবে?? আমরা যে এখন ভূমি পাইছি এটা তো লক্ষ বছর আগে এমন ছিলো নাহ!! বছরের পর বছর পরিবর্তনের ফলে আমরা একটা স্থির ভূত্বক পেয়েছি যেটাকে ক্রাস্ট(crust) বলে.. এটা ৭ থেকে ৪০, ৬০, ১০০ মাইল পর্যন্ত, মানে আমরা যদি মাটির নিচে ১০০ মাইল পর্যন্ত খুড়ি তাহলে মাটি, পাথর, বালি, ভাগ্য ভালো থাকলে খনি,কয়লা,স্বর্ণ এগুলোও পেতে পারি..
ক্রাস্টের নিচে আরেকটা স্তর আছে ম্যান্টল, যেটার ১৮০০ মাইল পর্যন্ত পুরুত্ব.. এটা না খুব পাজি, মাঝে মাঝে তার উপরে ভাসমান ক্রাস্টকে ভেংগে ফেলে.. ফলে শক্ত ক্রাস্ট আলাদা হয়ে যায়, মানে আমরা যেখানে দাড়াই সেটাই খুব শক্ত ক্রাস্টের বিচ্ছিন্ন স্তর, যেটাকে টেকটনিক প্লেট বলে.. মহাদেশগুলো এরকম টেকটনিক প্লেটের উপর অবস্থিত.. কোটি কোটি বছর ধরে এগুলো পৃথিবীর উপর এসে জমা হয়েছে.. এই প্লেটটাকেই আমরা মাটি মনে করি..
এখন আসবো আসল কথায়.. এই পৃথিবীর অভ্যন্তরে মাত্র ৩টা ভাগ আছে.. শিলা মন্ডল, গুরুমন্ডল আর কেন্দ্র মন্ডল..
শিলামন্ডল আসলে খুব ভালো, আমরা নিচের দিকে তাকালে যাই দেখি তাই শিলা(ইহা কিন্তু শিলা কি জাওয়ানি নহে).. আমরা হাতের থেকে যা কিছুই ফেলি না কেনো সবকিছুই শিলামন্ডলে গিয়ে পড়ে.. তাহলে কি হলো?? শিলামন্ডল হলো সেই অংশ যেটা পৃথিবীর সবচেয়ে উপরে থাকে.. মানে আমাদের কাছাকাছি থাকে.. ক্রাস্ট, টেকটনিক প্লেট সবই শিলার বাচ্চাকাচ্চা..
এরপরে আরেকটু গভীরে যাই.. শিলা আপুর পরের স্তরটা হচ্ছে গুরুমন্ডল.. গুরুমন্ডল একদম গুরুগম্ভীর, খুব রাগী সে.. সে সবার মাঝখানে থাকতে চায়, যাতে কেউ তাকে ধরতে না পারে.. তাই এই গুরুমন্ডল অলটাইম পৃথিবীর উপরে-নিচের দুটোস্তরের একদম মাঝখানে থাকে.. আবার এই গুরুগম্ভীর পন্ডিতের দুটো ছেলে আছে.. একটা নিফেসিমা (নিকেল, ফেরাস/
লোহা, সিলিকা & ম্যাগনেসিয়াম) আর আরেকটা ক্রোফেসিমা (ক্রোমিয়াম, ফেরাস, সিলিকা & ম্যাগনেসিয়াম)..
তারপর এই গুরুমন্ডলের পর, পৃথিবীর একদম নিচে, একদমই নিচে তার তো একটা কেন্দ্র থাকার কথা!! সেটাই হচ্ছে কেন্দ্রমন্ডল.. এই কেন্দ্রমন্ডলেরও দুটো পোলাপান আছে.. একটার নাম অগা(অন্ত:কেন্দ্
রমন্ডল) আরেকটার নাম বগা(বহি:কেন্দ্রমন্ডল).. অগা হচ্ছে সত্যি সত্যিই পৃথিবীর কেন্দ্রতে.. যাকে কখনোই আমরা নিজের চোখে দেখতে পারিনি, অনেক দূরে তো তাই.. এই অগা বেচারীর গায়ে অনেক জ্বর থাকে সবসময়, ৫১৫০ ডিগ্রী তাপ থাকে তার.. এটার ঘনত্ব পানি থেকে ১৩.৩-১৩.৬ গুন হয়..
এরপর আসছি বগার কথায়, ও অগার উপরেই থাকে, অর্থাৎ বগার থেকেই শুরু হয় কেন্দ্রমন্ডলের যাত্রা.. ওর গায়ে অগার থেকে কম জ্বর থাকে, মাত্র ৪০০০ ডিগ্রী.. আর ওর ঘনত্ব পানির ১০ গুন মাত্র..
জ্বর যেহেতু ছোয়াচে রোগ তাই আমাদের উচিত হবে না পৃথিবীর কেন্দ্রমন্ডলে গিয়ে নাচানাচি করা..