গোধূলি
→মোহন
এখানে গোধূলি নামে
পশ্চিমের আকাশে,
পাখিরা নীড়ে ফিরে
কলরব শব্দকরে।
রাখাল ছেলে বাড়ি ফিরে
বেণু বাজিয়ে, ধেনু নিয়ে।
জীবনের টানে আজ
চলছে হাটুরে
হিসেবের খাতা নিয়ে।
এখানে রাত্রি নামায়
চাঁদ মামা হেসে।
বৃষ্টির দিনে
-মোহন
বর্ষার দিনে বৃষ্টিতে,
আজ তোমায় মনে পড়ে।
ঝুম বৃষ্টির শব্দে মনে পড়ে তোমায়,
বাদল ধারায় কার ইশারায়;
মোর প্রাণে আজি দোলা লাগে।।
বৃষ্টি শেষে,জানালায় বসে
নিজেকে আজ একলা লাগে।
তোমা বিনে,একলা বসে
গগন পানে চেয়ে
আজ নিজেকে একলা লাগে।।
||১৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৪ বঙ্গাব্দ||
ক্ষণিকের দেখা
-মোহন
তারে দেখেছি এক বর্ষা বাদল দিনে,
সে হাঁটছিল একা আনমনে।
কী মায়াবী মুখ
হাওয়ায় উড়ছিল তার চুল
মমতা তার নয়ন জুড়ে
ছন্দ ছিল তার ধীরস্থির চলনে
কামিনীর সুবাসে বিরাজিছে আনন্দ।
প্রকৃতি মগ্ন তার নিজের আয়োজনে,
তার আগমন সময়ের প্রয়োজনে;
চারিদিকে ফুটছে কদমফুল,
বিচিত্রতায় পক্ষীরা আজ আকুল।
যেন ধন্য হল ধরা আজ তাকে ভালোবেসে,
মেঘের গর্জনে সে ছুটে চলল ঝড়ের বেগে।
||১৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৪ বঙ্গাব্দ||
"উদাস দুপুর"
-মোহন
গ্রীষ্মের এই দুপুরবেলায়
থাকতে চায় না মন বন্ধীরতায়
খুঁজে ফিরি উচ্ছলতা
ছোটবেলার সেই দুপুরবেলা।
মন পড়ে থাকে খেলার মাঠে
ফিরে খুঁজি স্মৃতি ইটের ফাঁকে।
ছোট্টবেলার সেই আনন্দবেলা
হারিয়ে আজ আমি দিশেহারা।
স্মৃতিরা সব চোখের কোণে
জমায় অশ্রু ক্ষণে ক্ষণে।
ভাবুক মন আজ চায় ফিরে যেতে
ছোটবেলার স্মৃতির কাছে।
||১৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৪ বঙ্গাব্দ||
মেঘলা দিন
-মোহন
এই মেঘলা দুপুরে
এই মন চায় আনমনে
হারিয়ে যেতে কারো মুগ্ধতায়
ভালোবাসার অবলীলায়।
কদমের ওই পাঁপড়ীগুলোর
সজীবতার সুন্দরতায়,
স্নিগ্ধতার স্পর্শে
মলিন মন রাঙাতে।
তুমি কি আসবে আমার পথে,
হারিয়ে যাব দিগন্তের শেষে।
চলনা আজ রাঙাবো তোমায়,
আমার মনের সাজানো চিলেকোঠায়।
||১৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৪ বঙ্গাব্দ||